নিজস্ব প্রতিবেদক হি,লি ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
এই ভরা মৌসুমে চাল আদানি হলেও খুচরা বাজারে কমছে না চালের দাম।
প্রকার ভেদে কেজি প্রতি ২ থেকে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে ডলারে
মূল্য বেশি ভারতের বাজারে চালের মুল্য বৃদ্ধি পাওয়াকে দায়ী করছেন
ব্যবসায়ীরা। তবে ব্যবসায়ীদের যথেষ্ট পরিমান এলসি রয়েছে ভারতে, বেশী
বেশী পরিমান চাল আমদানি হলে বাজারে চালের দাম কমে আসবে। এদিকে ১২
নভেম্ব থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি
হয়েছে হিলি স্থল বন্দর দিয়ে।
ধান উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত দিনাজপুর জেলা। চলতি বছরে এই জেলাতে ২ লক্ষ
৬০ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। জেলাতে প্রায়
আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষের দিকে। চালের দাম স্বাভাবিক রাখতে সরকার
ভারত থেকে শুল্ক মুক্ত ভাবে চাল আমদানি করছেন। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রেকর্ড
পরিমাণ চাল আমদানি হচ্ছে, তবুও কমছে না চালের দাম। এক সপ্তাহের
ব্যবধানে কেজি প্রতি বেড়েছে ২ থেকে ৫ টাকা। বর্তমানে আঠাস
জাতের চাল কেজি প্রতি ৩ টাকা বেড়ে ৬৫ টাকা, স্বম্পা কাটারী কেজি
প্রতি ২ টাকা বেড়ে ৭২ টাকা, মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫
টাকা, রতœা আতব কেজি প্রতি ২ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, স্বর্না ২ টাকা
বেড়ে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সীমান্ত অঞ্চলে শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে
ওঠায় চালের মূল্য কমছে না বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। ভারত থেকে চাল
আমদানি বন্ধ হলে চালের দাম আবার বেড়ে ওঠার সম্ভবনা রয়েছে বলছেন
বিক্রেতারা।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানীকারক গ্রæপের সভাপতি, সাখাওয়াত হোসেন
শিল্পী বলেন, ভারতে চালের দাম বেশি, ভারতে সব ধরনের চালের দাম ১০ থেকে ১৫
ডলার বৃদ্ধি পেয়েেেছ। এ কারণে আমদানিকৃত চাল কম দামে বাজারে
বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।
হিলি স্থলবন্দর রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম বলেন শুল্কমুক্তভাবে হিলি স্থলবন্দরে
৪১০ ডলারে চাল আমদানি হচ্ছে। চলতি বছরের ১২ নভেম্বর থেকে চাল আমদানি
শুরু হয়েছে এই বন্দর দিয়ে। চাল একটি নিত্যপণ্য এবং দেশের বাজারে
চাহিদা রয়েছে, সেহেতু আমরা কাস্টমসের সব কার্যক্রম দ্রæত সম্পন্ন
করছি।
হিলি কাস্টমের তথ্য মতে, ১২ নভেম্ব থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫০ হাজার
মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে হিলি স্থল বন্দর দিয়ে। বর্তমানে চাল
আমদানির সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।