নিজস্ব প্রতিবেদক, হিলি:
সীমান্ত ঘেষাঁ হিলিতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ফলে চরম আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে স্থানীয় ১৭ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। আবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ১৯ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে আটকাপড়া ১৫৭ জন বাংলাদেশী যাত্রী। তাদের মধ্যে ৩ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। তবে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কি না তা নিশ্চিত হতে নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ভারত থেকে আসা ২৯ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন।
হিলি স্থলবন্দরের স্থানীয় বাসিন্দা মোকলেছার রহমান বলেন, গত বছর করোনার প্রথম ঢেউয়ের শুরুতে উপজেলা প্রশাসনের কড়া নজরদারির কারণে এই উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল খুবই কম। কিন্তু বর্তমান সময়ে হিলি চেকপোস্ট দিয়ে পন্য আমদানিতে ভারতীয় ট্রাকে চালক ও হেলপারের আগমন এবং বাংলাদেশীদের আসা শুরু হওয়ায় আমাদের স্থলবন্দর এলাকায় করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
হিলি-হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত জানান, ভারতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেও বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু রয়েছে। ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপাররা পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এতে করে হিলিতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি আরোও বলেন, হিলিতে করোনা সংক্রমণ রোধে ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক ড্রাইভার-হেলপারদের র্যাপিড এন্টিজেম টেস্টের পর বাংলাদেশে প্রবেশকরণ অথবা সাময়িক ভাবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানান।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান জানান, করোনাকালিন সময়ের প্রথমের দিকে উপজেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ৮৭ জন। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৮৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে হিলিতে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৭ জন। এর মধ্যে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন, সুস্থ্য হয়েছেন ৮৯ জন, বর্তমানে ১৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা সকলেই তাদের নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।