শুক্রবার , নভেম্বর ১৫ ২০২৪
নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / দিনাজপুর / হিলিতে কমছে শীতের দাপট, জনজীবনে ফিরেছে স্বস্তি

হিলিতে কমছে শীতের দাপট, জনজীবনে ফিরেছে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক,হিলি:
টানা কয়েক সপ্তাহজুড়ে ঘণকুয়াশা আর তীব্র শীতের পর দিনাজপুরের হিলিতে কমছে কুয়াশা ও শীতের দাপট,স্বস্তি ফিরছে জনজীবনে। দুই দিনের ব্যবধানে জেলায় তাপমাত্রা বেড়েছে ৫ ডিগ্রি।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন,আজ বুধবার সকাল ৬ টায় ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে আর বাতাসের আদ্রতা ৯৬ শতাংশ,যা গতকাল মঙ্গলবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
টানা কয়েক সপ্তাহজুড়ে ঘণকুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বাড়িয়ে দিয়েছিল শীতের প্রকোপকে।কয়েক সপ্তাহ পর সূর্যের দেখা মিললেও সন্ধার পর থেকে আবারও ঘনকুয়াশার সাথে তীব্র শীতে কাতর হয়ে পড়েছিলেন এই এলাকার সাধারণ মানুষেরা। কুয়াশার কারণে ট্রেন,বাস,অটোবাইকগুলোকে হেডলাইট জ¦ালিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। কুয়াশার কারণে ট্রেনগুলোও চলাচল করতে হয়েছে বিলম্বে।শীত উপেক্ষা করেই যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল ট্রেনের জন্য। ঠান্ডার কারণে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হয়নি। বেশি দূর্ভোগে ছিলেন ছিন্নমুলসহ খেটে খাওয়া মানুষেরা। প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করেই তাদের ছুটতে হয়েছে কর্মস্থলে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভির করছেন নিন্মআয়ের অসহায় মানুষেরা।
দিনমজুর শুকুর আলী বলেন,কয়েক দিন খুব ঠান্ডা গেলো বাবা। এখন একটু সূর্যের দেখা যায়। তবে তাপ কোন দিন বেশি আবার ও কোন দিন কম। আজ বেলা ১২ টার দিকে সূর্যের দেখা মিললেও দুপুর থেকে মেঘে ঢেকে আছে। তবে আগের থেকে শীত কম লাগতেছে। কয়েক দিন ধরে তেমন কাজ কাম পাইনি। এই কয়েক দিন খুব কষ্টে দিন গেছে।
ভ্যান চালক রশিদ বলেন,কয়েক দিন ধরে খুব ঠান্ডা গেলো।এখন শীত একটু কম তাই ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি।সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চার শত টাকা ইনকাম করছি। আর কয়েক দিন তো ঠিকতম কমেই হয়নি।
হিলি বাজারের কামার কৃষ্ণ কর্মকার বলেন,কয়েক দিন ধরে সূর্য উঠছে।তাই তিন ধরে কাজে এসেছি। তীব্র ঠান্ডায় কোন দিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কাম করছি। আর দুই ধরে ৫ শত থেকে ৭ শত টাকা কাম করছি। আজকে আকাশ মেঘলা থাকলেও ঠান্ডা কম।

আরও দেখুন

রাণীনগরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারপিট করে  ১৫ভরি স্বর্ণের ও 

১০০ভরি চান্দির গহনা ছিনতাই নিজস্ব প্রতিবেদক রাণীনগর,,,,,,,,,,  নওগাঁর রাণীনগরে দোকান থেকে বাড়ী ফেরার  পথে পথ …