মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে আগুনে পুড়ে দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সাবেক এমপি শিবলী
সাদিক,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন, সাবেক
পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জামিল হোসেন চলন্ত, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা
শাহিনসহ ২৩ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ৯০/১০০ জনকে আসামি করে হাকিমপুর থানায় একটি হত্যা মামলা
দায়ের করা হয়েছে।
গত সোমবার (১৯ আগস্ট) নিহত শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান নুর সূর্য এর ভাই সুজন বাদী হয়ে হাকিমপুর
থানায় হত্যা মামলাটি করেন।
থানায় মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বৈষম্য বিরোধী কোঠা সংস্কার ও ছাত্রজনতার
আন্দোলন শুরু হলে বাংলাদেশের অন্যান্য জনপদের ন্যায়ে হাকিমপুরেও ছাত্রজনতার শত:স্ফুর্ত ভাবে সক্রিয়
আন্দোলন গড়ে তোলে। ছাত্রজনতার আন্দোলন দমনে হুকুমের আসামী এমপি শিবলী সাদিকের মোবাইল
ফোনে নিদের্শনা দেওয়ার পর গত রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র
আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা হিলি রেলস্টেশনের পূর্ব পাশ্বে রেলওয়ে একতা ক্লাবের সম্মুখে শান্তি পূর্ণ বৈষম্য
বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে মিছিল ও সমাবেশে ছাত্র জনতার উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে
আকস্মিক ভাবে আক্রমণ করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারী
ভাবে ছাত্রজনতার উপরে হামলা করে মারধর করতে থাকেন। এতে ছাত্রজনতা মো: নাফিজ, মো: মোস্তাকিম
মেহেদী, মো: মহিলদুল, মো: বাবু আহম্মেদ,আসাদুজ্জামান নুর সূর্য ও মো: নাঈমকে গুরুত্বর আঘাতে
রক্তাক্ত যখম হয়। এরপর মো: নাফিজ, মো: মোস্তাকিম মেহেদী,মো: মহিদুল, মো: বাবু আহম্মেদ,
আসাদুজ্জামান নুর সূর্য ও মো: নাঈমকে অপহরন করে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক জামিল
হোসেন চলন্তের বসত বাড়িতে হত্যার উদ্দ্যেশে আটকিয়া রাখে। ওই দিন গভী রাতে মো: নাফিজ, মো:
মোস্তাকিম মেহেদী, মো: মহিলদুল, মো: বাবু আহম্মেদ পালিয়ে আসে। এবং হাকিমপুর ডিগ্রি
কলেজের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান নুর সূর্য (১৭) ও পাঁচবিবি উপজেলার মো: নাঈম (১৮) কে
শারিরীক নির্যাতন করায় তারা পালিয়ে আসতে পারেনি। এরপর গত ০৫/০৮/২০২৪ তারিখে বেলা ৩ টা ৩০
মিনিটে আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হইলে আসামী
জামিল হোসেন চলন্ত এর বাড়ির মালামাল সরিয়ে ফেলে তার বাড়িতে পেট্রোল ঢালিয়ে আগুন লাগিয়ে দিলে
আটকিয়ে থাকা আসাদুজ্জামান নুর সূর্য ও মো: নাঈম পুড়ে মারা যায়। ওই দিন ০৫/০৮/২৪ রাত ১১ টায়
হিলি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিভানোর সময় আসাদুজ্জামান নুর সূর্য ও মো: নাঈম এর মরদেহ
উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পরে ওই রাতেই ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত মরদেহ আমি ও
আমার মা সনাক্ত করি।
হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দুলাল হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।