নিউজ ডেস্ক:
ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বৈঠকের এজেন্ডায় কী থাকছে- তা নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বৈঠকের পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেবেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান। এর বাইরে তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠক করবেন ভারতের অন্যতম ব্যবসায়ী গৌতম আদানির সঙ্গেও। সফরের দ্বিতীয় দিনে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হবে। ধারণা করা হচ্ছে, ৩০ মিনিটের ওই বৈঠকই হবে সফরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ। সফরের বাকি অংশ আলঙ্কারিক। প্রসঙ্গত, আগামীকাল সোমবার দুুপরের ফ্লাইটে চার মন্ত্রী ও চার প্রতিমন্ত্রীসমেত ১৭০ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর বিকালে তিনি দেশে ফিরবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গত বৃহস্পতিবার ভারতের বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের মধ্য দিয়ে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের সহযোগিতার নতুন দুয়ার খুলবে। এই সফর বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। দিল্লি সফরের দ্বিতীয় দিন ৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন। তার আগে তিনি দিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, চার দিনের ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঠাসা কর্মসূচি থাকলেও মূলত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বৈঠকের দিকেই সবচেয়ে বেশি নজর রয়েছে। কী থাকছে দুই প্রধানমন্ত্রীর ওই আলোচনায়? এছাড়াও ভারতের
পররাষ্ট্র মন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী এবং আদানি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কী কথা হয়- সেদিকেও নজর রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও সীমান্ত সমস্যাসহ দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলোর পাশাপাশি আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে দুই দেশের সহযোগিতার প্রসঙ্গও আসতে পারে। নিকট প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতের একে অন্যকে প্রয়োজন। রোহিঙ্গা সংকটের কারণে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ঝুঁঁকির বিষয়টি বাংলাদেশ তুলবে। এর বাইরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, তাইওয়ান সংকট নিয়ে দুই দেশ আলোচনা করবে। ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সা¤প্রতিক কালে মার্কিন ও চীন বলয়ের প্রতিযোগিতার প্রসঙ্গটি আলোচনায় উঠতে পারে। আর দ্বিপক্ষীয় ক্ষেত্রে বাণিজ্য, জ্বালানি, পানিবণ্টন, সংযুক্তি ও নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয় বিশেষ গুরুত্ব পাবে। অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব জোরদারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারত ‘সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সেপা)’ সই হতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘হাইভোল্টেজ মিটিং’কে ঘিরে এরইমধ্যে প্রত্যাশার পারদ ক্রমাগত চড়ছে। তাদের মতে, এবারের সফর অনেক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে ভোটের বাতাস বইতে শুরু করেছে। ভারতেও নির্বাচন দূরে নয়। অন্যদিকে, ভূরাজনৈতিক সমীকরণে বাংলাদেশকে কাছে পেতে চাইছে ভারত। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক যত দৃঢ় হবে, ভারত তত অস্বস্তিতে পড়বে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। ফলে ভারত চাইছে, বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাখতে। সে কারণেই শেখ হাসিনার সফর ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন গতকাল ভোরের কাগজকে বলেন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্তে বৈঠক বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে। এরআগেও দুই প্রধানমন্ত্রী একান্তে বৈঠক করেছেন, তাতে সম্পর্ক বেড়েছে। এবারের বৈঠকের পর হয়ত সম্পর্ক আরো সুসংহত হবে। পাশাপাশি পারস্পরিক স্বার্থে দুই দেশের মধ্যে কোনো দ্বিমত-অমত এবং ভুল বোঝাবুঝি থাকলে দুই নেতার বৈঠকের পর কেটে যাবে।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, গত বৃহস্পতিবার ভারতের তরফ থেকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের খূঁটিনাটি প্রকাশ করেন। অপরদিকে বাংলাদেশের তরফে বিষয়টি জানানোর জন্য আজ রবিবার বিকাল সাড়ে তিনটায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে। তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চার মন্ত্রী ও চার প্রতিমন্ত্রীসহ ১৭০ জনের প্রতিনিধি দল ভারত সফরে যাচ্ছেন। এই সফরে ডজনখানেক চুক্তি ও সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিশ্লেষক বলেন, ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আগে হয়ত দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফর হবে না। কাজেই নির্বাচনের আগে এটিকেই শেষ সফর ধরে নেয়া হচ্ছে। এজন্য সফরের দ্বিতীয়দিনে দুই নেতার বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। যার মধ্যে অভিন্ন নদীর পানিবণ্টনে সহযোগিতা, বাণিজ্য বৃদ্ধি, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতের মতো বিষয় অগ্রাধিকার পাবে। গত এক দশকে দুই নিকট প্রতিবেশীর সম্পর্কে ‘বিশেষ মাত্রা’ বজায় রেখে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, আলোচনায় তিস্তার পানিভাগাভাগি চুক্তির পাশাপাশি সীমান্ত সমস্যার কথা তুলবে বাংলাদেশ। কারণ এই ধরনের ঘটনা সীমান্ত অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। যা দুই দেশেরই অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। পাশাপাশি সা¤প্রদায়িক সহিংসতার বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ আগে থেকেই উদ্বিগ্ন। গত বছর পুজার সময় কুমিল্লার ঘটনা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কিছু ঘটনা নিয়ে এর আগেও দুই দেশে আলোচনা হয়েছে। কুমিল্লার ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তার একটি তালিকা বাংলাদেশ ভারতের কাছে তুলে দিতে পারে। প্রসঙ্গত, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ঢাকা সফরের সময় ভারত বাংলাদেশের কাছে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বিশেষ করে গত বছর পূজায় কুমিল্লার ঘটনা জানতে চেয়েছিল।
জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী ভোরের কাগজকে বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় কী থাকছে এটা বলা মুশকিল। তবে সফরটি উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন এবং পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে তৈরি বহুমুখী সম্পর্ককে আরো জোরদার করবে।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, অতীতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতে এলে সীমান্ত অঞ্চলের রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানোর একটি ঐতিহ্য ছিল বলে কোনো কোনো কূটনীতিবিদ দাবি করেন। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, অতীতের কথা তিনি বলতে পারবেন না। তবে এবার এমন কিছু হবে বলে তিনি জানেন না। ফলে একটি বিষয় প্রায় স্পষ্ট, হাসিনা-মমতা বৈঠকের সম্ভাবনা ক্ষীণ। এখন দেখার, এই পরিস্থিতিতে মোদি-হাসিনা বৈঠকে তিস্তা প্রসঙ্গ কীভাবে ওঠে এবং মোদি বিষয়টিকে কীভাবে সামলান। তবে এটা ঠিক, বাংলাদেশের আলোচনার তালিকায় ১০ নম্বরে তিস্তা প্রসঙ্গের উল্লেখ আছে। উল্লেখ্য, ১২ বছর পর এবার জেআরসির বৈঠক হয়েছে। ফলে তিস্তা নিয়ে কোনো অগ্রগতির সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না কূটনীতিকরা।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির মনে করেন, সফরটি নির্বাচনের আগে হওয়ায় স্বাভাবিক কারণেই দুই দেশের নেতাদের মধ্যে রাজনৈতিক বিষয়ে কথাবার্তা হবে। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক আছে, কিন্তু সেই সম্পর্ক সমতার কিনা, এটা প্রশ্ন। দেনা-পাওনার হিসাবে ধরলে আমরা কম পাচ্ছি। ভারতকে আমরা যে রকম সুযোগ-সুবিধা দিই, আমরাও সে রকম সুযোগ-সুবিধা চাই। আর এটা সুষম হতে হবে। তিস্তার পানি দিচ্ছে না, কিন্তু আরো ছয়-সাতটি নদীর পানি নিয়েও তো কোনো আগ্রহ দেখি না। আসলে আমাদের আগ্রহ থাকলেও তাদের আগ্রহ খুবই কম।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে যে বাংলাদেশের মানুষের ক্ষোভ এবং বাংলাদেশের চীনের দিকে ঝুঁকে পড়া, এর তো বাস্তব ভিত্তি আছে। দুই-একটি সফর দিয়ে তার অবসান হবে না। তার মতে, ভারত নানা অজুহাতে তিস্তার পানি দিচ্ছে না। এবারো দেবে না। আবার সামনে নির্বাচন আসবে। সেটাকে কারণ দেখিয়ে দেবে না। সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার কথা বলা হলেও তা বন্ধ হচ্ছে না। তারা বলছে সীমান্তে অপরাধ হচ্ছে। পৃথিবীর সব দেশের সীমান্তেই অপরাধ হয়। ভারত যা চায়, তা পায়। আমরা যা চাই, তা পাই না। তিনি আরো বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সবসময়ই কথা হয়, আলাপ-আলোচনা হয়। এটা তো রুটিন কাজ, কিন্তু অর্জন কী হয় সেটাই এখন প্রশ্ন।
সফরের প্রথমদিন বিকেলে শেখ হাসিনা নিজামুদ্দিন দরগায় যাবেন : আগামীকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী মেখ হাসিনা নয়াদিল্লি পৌছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপরে বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ তিনি দিল্লির প্রখ্যাত নিজামুদ্দিন দরগা পরিদর্শনে যাবেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম উইয়ন নিউজ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে অর্ধশতকেরও বেশি সময় ধরে পবিত্র এই দরগাটি গুরুত্বপূর্ণ। সফরে প্রধানমন্ত্রী দরগার এক জিম্মাদার সৈয়দ বাসিত নিজামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন। বঙ্গবন্ধুও দরগাটি পরিদর্শন করতেন, যখন সৈয়দ বাসিতের বাবা কবির উদ্দিন নিজামি ও দাদা সৈয়দ মোহাম্মদ মিয়া নিজামি খাদিম ছিলেন। সৈয়দ বাসিত সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, আমার দাদার কাছে আসতেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান। তার মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা আসতেন বাবার কাছে। তিনি বাবার সঙ্গে ঢাকা ও দিল্লিতে সাক্ষাৎ করেছেন। আমার বাবাকে এখনও চিনেন তিনি। এই প্রথমবার আমি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবো। আশা করি ভালো বৈঠক হবে। ভারতীয় সুফি সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র হলো প্রায় ৭০০ বছর পুরনো দরগাটি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত নিয়মিত নিজামুদ্দিন দরগায় যেতেন শেখ হাসিনা। ওই সময় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ১৯৮১ সালের ৯ এপ্রিল শেখ হাসিনা দরগাটিতে গিয়েছিলেন। ওই সময় তাকে একটি নথি দেয়া হয়েছিল, যা ১৯৪৬ সালের ৯ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু মাজার পরিদর্শনের সময় লিখেছিলেন। এই মুহূর্তটি এখনও তিনি মনে লালন করেন। সৈয়দ বাসিত নিজামি উল্লেখ করেছেন, তিনি যদি আসেন, একটি মনোবাসনা নিয়ে আসবেন। দাদা ও বাবার মতো আমিও তার জন্য দোয়া করব। আমি আশা করি এখান থেকে তিনি খুশি মনে ফিরে যাবেন। ১৯৯৭ সালেও শেখ হাসিনা নিজামুদ্দিন দরগা সফর করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দরগাটিতে এটিই তার প্রথম সফর। ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারতে অবস্থান করবেন তিনি। সফরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন। আলোচনায় গুরুত্ব পাবে কানেক্টিভিটি ও পানিবণ্টন। এবার ভারত সফরের সময় শেখ হাসিনা শুধু নিজামুদ্দিন দরগা সফর করবেন তা নয়, রাজস্তানে আজমির শরিফ দরগায়ও যাবেন। ২০১০ সালে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি আজমির শরিফ গিয়েছিলেন। পরে ২০১৭ সালেও দরগাটি সফর করেছেন তিনি। হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া দরগার জিম্মাদার ফরিদ আহমেদ নিজামি বলেন, ৫ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা দরগায় আসবেন। তার বাবার মাধ্যমে দরগাটির সঙ্গে তার পুরনো যোগসূত্র আছে। তার বাবা এখানে আসতেন। তিনিও অতীতে এসেছেন। নিজামুদ্দিন দরগাটি বেশ কয়েকজন বিদেশি রাষ্ট্রনেতা পরিদর্শন করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন সৌদি আরবের প্রয়াত বাদশাহ ফয়সাল, ইরান ও ইরাকের নেতা, পাকিস্তানের পারভেজ মোশাররফ ও হিনা রাব্বানি খার। স্পষ্টভাবে অঞ্চলটিতে দরগাটির আধ্যাত্মিক ও কূটনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে।