বিশেষ প্রতিবেদক:
ঘরে ঘরে কারেন্ট জাল ব্যবহার হচ্ছে হালতি বিলে। প্রতি বছর বর্ষা এলেই হালতি বিলের চারপাশ পরিপূর্ণ হয় বিশাল জলরাশিতে। বিলের পানিতে ভাসতে থাকে গ্রামগুলো। হালতি বিল মিনি কক্সবাজার খেতাব পাওয়ায় জনসমাগমও হয় প্রচুর। বর্ষাকালে মাছের বিচরণ ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করা হালতি বিলে বছরে বছরে কমছে মাছের পরিমাণ। মাছের স্বাভাবিক চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটছে। তবে বর্তমানে সব থেকে বেশি যে সমস্যাটি প্রকট হয়ে উঠেছে সেটি হলো কারেন্ট জাল।
সম্প্রতি হালতি বিল সংলগ্ন চারপাশে ঘুরে দেখা যায়, কারেন্ট জালে সয়লাব। বাড়িতে বাড়িতে কারেন্ট জাল ঝুলছে। এই কারেন্ট জাল ব্যবহার করা হচ্ছে হালতি বিলে। এর ফলে নৌকা চলাচলেও প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। নৌকার জন্য জাল ছিঁড়ে গেলে সেটি নিয়ে বাকবিতন্ডা বা জরিমানার বিষয় এখন প্রায় প্রতিদিনের। বাঁশিলা, মহিষমারি থেকে শুরু করে হালতি, খোলাবাড়িয়া, একডালা, দিঘীরপাড়, খাজুরা, পাড়বিষা, পাটুল, করের গ্রাম সহ বিলের চারপাশেই চলছে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা। কারেন্ট জাল বিক্রয় ও ব্যবহার নিষেধ থাকলেও শুনছেনা কেউ। মুদিখানার দোকানেও বিক্রি হচ্ছে কারেন্ট জাল।
স্থানীয় নৌকার মাঝি সামসুল জানান, বিলে কারেন্ট জাল ফেলে মাছ ধরার জন্য আমাদের নৌকা চালাতে সমস্যা হয়। সবদিক দিয়ে নৌকা নিয়ে যাওয়া যায়না। এতে যারা নৌকায় বেড়াতে আসেন তারা খুশি হয়না কারণ তাদের মত করে তারা ঘুরতে পারেনা না। নৌকা লেগে জাল ছিঁড়ে গেলে জরিমানা দিতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা বাসুদেব ঘোষ এব্যাপারে বলেন, কারেন্ট জালের জন্য বিলে মাছ তো থাকেই না মাছের ডিমও থাকেনা। এই কারেন্ট জাল না থাকলে বিলে এক বছরে যে পরিমাণ মাছ হয় সেগুলো তিন বছরেও শেষ হওয়ার কথা না কিন্তু মাছের সংকট তৈরী হচ্ছে কারেন্ট জাল ব্যবহারের জন্য। কারেন্ট জাল ব্যবহার একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া উচিত। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাই কারেন্ট জাল যেন হালতি বিল থেকে একবারেই তুলে দওেয়া হয়।
এ ব্যাপারে নলডাঙ্গা উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকারে কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, কারেন্ট জাল ও বাঁদাই জালের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমারা যখনই অভিযানে যাই, তখনই তারা কোন না কোন ভাবে খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। এরমধ্যেও আমরা অভিযান চালিয়ে জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দিয়েছি।