নিজস্ব প্রতিবেদক:
হাতে গাঢ় মেহেদী রং, তাই আঙ্গুলের ছাপ মেলাতে পারেনি। ফলাফল ভোট দিতে পারেননি তিনি। সোমবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার একমাত্র ভোট কেন্দ্র বনপাড়া কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিজের ভোটটি দিতে পারেননি গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য সুমী আক্তার বুলবুলি। ওই কেন্দ্রের মোট ভোটার ১২৪ জন। এর মধ্যে বনপাড়া পৌরসভার ১জন কাউন্সিলর হেলালউদ্দিনের মৃত্যু ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুরাইয়া আক্তার কলি পদ থেকে পদত্যাগ করায় মোট ভোটার গিয়ে দাঁড়ায় ১২২ জন।
দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে নারী ইউপি সদস্য সুমী আক্তার বুলবুলি ইভিএম এ হাতের আঙ্গুল রাখলে গাঢ় মেহেদী রং থাকায় ছাপ মেলেনি। হাত সাবান দিয়ে বার বার ঘষে পরিস্কার করার পরেও ছাপ মেলাতে পারেনি। পরবর্তীতে জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে এনালগ পদ্ধতি ব্যবহার করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার চেষ্টা করলেও ইভিএম সে ভোট গ্রহণ করেনি। যার ফলে ১২১ জন ভোটারের ফলাফল ইভিএম প্রদান করে।
এ ব্যাপারে ওই নারী ইউপি সদস্য সুমী আক্তার বুলবুলি জানান, ভোট কেন্দ্রে যাবো তারই সাজ হিসেবে আগের দিন দুই হাতের তালু সহ সকল আঙ্গুলে মেহেদী দেওয়া হয়৷ কিন্তু ভোট কেন্দ্রে এসে ইভিএম এ আঙ্গুলের ছাপ দিলে সেখানে তা মেলেনি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “এমন জানলে হাতের আঙ্গুলে মেহেদী দিতাম না।”
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুর রহমান আনছারী এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, অনেক চেষ্টা চালিয়েও ওই নারী ইউপি সদস্যের “ফিঙ্গার গ্রাফিক্স এর সিগন্যাল” পাওয়া যায়নি। যার ফলে তার ভোটটি নেয়া সম্ভব হয়নি।
আরও দেখুন
নন্দীগ্রামে রস সংগ্রহের জন্য খেজুরগাছ প্রস্তুত
নিজস্ব প্রতিবেদক নন্দীগ্রাম ,,,,,,,,,,বগুড়ার নন্দীগ্রামে রস সংগ্রহের জন্য খেজুরগাছ প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন হেমন্তকাল। মাঠ …