নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের নলডাঙ্গার হালতিবিলসহ বিভিন্ন এলাকায় পাখির মেলা বসেছে পানকৌড়ি, বক, মাছরাঙ্গাসহ নাম না জানা অনেক প্রজাতির পাখির পসরা যেন নিত্যদিনের। পাখিসহ সকল বন্যপ্রানী সংরক্ষণে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সাথে নিয়ে কাজ করছে নলডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন জানালেন-উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সুখময় সরকার।
কাক ডাকা ভোরে দলবেঁধে আসা পাখির কলরব কানে আসে। বলতে গেলে রোজ ঘুম ভাঙে এসব পাখির কিচির মিচির শব্দে। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি এসে পড়ছে বিলের বিভিন্ন স্থানে পাখিদের নানা সুরেলা কণ্ঠের হাঁকডাক, ওড়াউড়ি, মিতালি-মাতামাতির জলকেলিতে মুখর হয়ে উঠেছে চারপাশ। এ যেন অঘোষিত পাখির অভায়রণ্য।
স্থানীয়রা জানান, এ বিলে পানকৌড়ি,টুনটুনি, দোয়েল,শালিক,রাতচরা,কানা বক,সাদা বক, মাছরাঙ্গাসহ নাম না জানা অনেক প্রজাতির পাখির পসরাও বসে নিত্যদিন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার পাখির ডুবসাঁতারে তৈরি হয় এক নতুন ফটো অ্যালবাম। যে অ্যালবামজুড়ে থাকে পাখিদের ডুব-ডুব লুকোচুরি, আহার শিকার, খুঁনসুটি, কিচিরমিচির শব্দ, পাখার ঝাপটানির মোহনীয় তাল,ডানা মেলে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়া এমন মনোরম দৃশ্য, যা অন্যরকম আবহ তৈরি করে প্রকৃতিজুড়ে। এ রকম ছোটাছুটি আর লুটোপুটি চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। গোধূলি শেষে যখন সূর্য ডুবুডুবু অবস্থা, ঠিক তখন মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যায় এসব পাখি। উড়ে গিয়ে যার যার মতো আশ্রয় নেয় আশপাশের গাছপালা, বাঁশঝাড়, কচুরিপানার ঝোপে। পাখ-পাখালির এমন নিবিড় আত্মীয় ভাবাপন্ন আপন করা মায়াবী জালে আটকা পড়ে হাজার হাজার অতিথি পাখি।
পরিবেশকর্মীরা জানান, হালতিবিলের পাখিসহ বন্যপ্রানীর নিরাপত্তা রক্ষায় সচেনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি পাখিদের যেন কেউ ক্ষতি না করে সেজন্য পরিবেশকর্মীরা সার্বিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে এই এলাকাকে সরকারিভাবে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হলে শীত মৌসুমে পাখিদের ভিড় আরো বাড়বে। একসঙ্গে এত পাখির আনাগোনা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। পাখির আগমনে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি এসব পাখি আমাদের মনে আনন্দ দেয় এবং এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে এ বিলে পাখিদের একটি অন্যতম নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে গড়ে উঠেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সুখময় সরকার জানান, পাখিসহ সকল বন্যপ্রানী সংরক্ষণে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সাথে নিয়ে কাজ করছে নলডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন এবং জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গ্রহন করা হয়েছে নানা উদ্যোগ।