নিজস্ব প্রতিবেদক, হিলি (দিনাজপুর):
দিনাজপুরের হাকিমপুরে অস্থায়ী আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমদাদুল হক চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯ টায় হিলি থানা মোড়ে (শহিদুল ইসলামের বাসায়) অস্থায়ী কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা অধ্যাপক সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক হাকিমপুর পৌর মেয়র কামাল হোসেন রাজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শাদো, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম ডাব্লু প্রমুখ।
হাকিমপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমদাদুল হক চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, মাসব্যাপি ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসটি উদযাপন হবে। এই উপলক্ষে গত ৯ আগষ্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত পত্রের আলোকে আওয়ামী লীগের উপজেলা সংগঠনিক প্রধান হিসাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে গত ১১ আগষ্ট থানা রোড অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদকের পত্রটি পাঠ করে শুনাই এবং তাদের মতামত প্রদানের জন্য অনুরোধ জানাই। উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দ সভাপতিকে গত ১ বছর যাবত আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয় ভেঙে ফেলায় তা নির্মিত না হওয়ার কারণ জানতে চায়। অদ্যবধি দলীয় কার্যালয় না থাকায় জাতীয় শোক দিবসের কর্মসুচী কোথায় পালিত হবে? সে পরিপ্রেক্ষিতে আমি উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে হিলি-ঘোড়াঘাট রোডের থানা মোড়ে অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে শোক দিবসের যাবতীয় কার্যক্রম পালন করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাই। যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবসের কর্মসুচী পলিনের লক্ষ্যে আমি সভাপতি এবং উপস্থিত নেতৃবৃন্দের সর্ব সম্মতিক্রমে অধ্যাপক সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমানকে আহ্ববায়ক ও নুরুল ইসলাম ডাব্লুকে সদস্য সচিব করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় শোক দিবস উদযাপন কমিটি গঠন করা হয় এবং কমিটির আহবায়ককে ১৩ আগষ্ট সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সরকারি নিয়ম-নীতির মাধ্যমে যথাযথ মর্যাদায় দলীয় কর্মসুচী পালনের জন্য প্রস্তুতি সভা আহ্বানের জন্য নির্দেশ প্রদান করি। সেই সিদ্ধানন্তের আলোকে ১৩ আগষ্ট বিকেল ৪ টায় আহবায়ক কমিটির উপস্থিতিতে সভা চলাকালীন সময় আকর্ষিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন, হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা শাহিন এবং পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্তের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী শোক দিবসের প্রস্তুতিমুলক সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দের উপরে আকস্মিক ভাবে আক্রমণ করে দলীয় সাইন বোর্ড ভাংচুর করে পদদলিত করে সাইন বোর্ডটি নিয়ে চলে যায়। বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বোয়ালদাড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদৎ শাদোকে সভাকক্ষের সামনে চড়াও হয়ে মারধর করে এবং তার মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় ১৩ আগষ্ট রাতেই হাকিমপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এহেন ন্যাক্কার জনক ঘটনার আমি তীব্র প্রতিবাদ, নিন্দা জানাই এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা রাখছি।
এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সিপি রোডস্থ দলীয় কার্যালয়টি সংস্কারের জন্য ভেঙ্গে ফেলায় হিলি বাজারে অস্থায়ী ভাবে একটি কার্যালয় ব্যবহার করা হচ্ছে। তারপরও দলীয় কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই থানা রোডে আরও একটি অস্থায়ী কার্যালয়ের সাইন বোর্ড তুলে অফিস করার চেষ্টা করলে দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহত করেছেন। তবে কোন মারপিটের ঘটনা ঘটেনি।