নিজস্ব প্রতিবেদক, হিলি
করোনা সংক্রামণ প্রতিরোধে সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলিতে চলছে অঘোষিত লকডাউন । উপজেলা প্রশাসন সরকারের সব পদক্ষেপ যেন সফল হয়েছে। তাই এই উপজেলার চিত্র পুরোপুরি বদলে গেছে। নেই কোন কোলাহল, কর্মব্যস্ততা ও হাকডাক। সর্বত্র এখন চলছে পিনপতন নিরবতা। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি ও সামাজিক দূরুত্ব নিশ্চিতকরণে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে টহল জোরদার করার ফলেই সবাই যেন হোম কেরায়ারান্টাইনে এমনটাই মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল। একান্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছে না। বের হলেও মাস্ক পরে ও সামাজিক দূরুত্ব বজাই রেখে চলছে তারা।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, সীমান্তবর্তী এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ৩ টি ইউনিয়নে প্রায় ২ লক্ষ লোকের বসবাস। উপজেলা সদর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে হাটবাজারগুলোতে নেই কোন লোকের সমাগম। সবাই এখন ঘরমুখি। উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ সচেতনতার লক্ষে প্রচার প্রচারণার জন্য শহর ও হাট বাজারে গত কয়েকদিন যাবত নিয়মিত মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করার ফলেই সবাই ঘরমুখি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জানপ্রতিনিধিরা।
উপজেলার জাংগই, ছাতনী চারমাথা, খাট্রাউছনা ও মংলা বাজার ঘুরে দেখা যায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচা বাজার বাজারগুলোতে নেই কোন লোকের উপস্থিতি। দু’ এক জন ঘর থেকে বের হয়েছেন তাও মাস্ক পড়ে ওষধ ও নিত্য প্রয়োজনী পণ্য কেনার জন্য। আকরাম হোসেন নামের এক ব্যাক্তি জানান, আমাকে প্রতিদিন প্রেসার ও গ্যাসের ওষধ খেতে হয়। তাই ওষধ কেনার জন্য বাজারে এসেছি। তাছাড়া বিনা প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হইনা।
হাকিমপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ জানান, পুলিশ সবসময় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির ও সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছে।
এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত জনগনের দারোগোড়ায় যাচ্ছি। এবং সচেতনামূল মাইকিং ও প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি। সেই সাথে কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে তাই আমরা নিজে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে গরীব অসহায়দের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছি। এছাড়াও আমরা নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদাল চালিয়ে আসছি।