নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
“হরিষে বিষাদ” কথাটি খুবই পরিচিত। নাটোরে এমনই একটি ঘটনা, ‘আনন্দ করতে গিয়ে প্রাণহানি’। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তির দিনে এমনই একটি ঘটনা ঘটে। বিসর্জনের শোভাযাত্রায় অতিমাত্রায় আনন্দের ছলে বিষাক্ত মদ্যপানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে রিঙ্কু নামের ১৭ বছরের এক তরতাজা তরুণ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কানাইখালি জেলেপাড়ার দাদুর বাড়িতে থেকে নাটোরে স্বর্ণকারের কাজ করতো রিঙ্কু। বিসর্জনের শোভাযাত্রা সঙ্গে বের হয়ে বন্ধুদের সঙ্গে অতিরিক্ত মদ্যপান করে রিঙ্কু। সে সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তার দাদুর বাড়ি কানাইখালি জেলেপাড়াতে নিয়ে আসা হয়। সেইদিন কোনরকম চিকিৎসা না দিয়েই বাড়িতে রাখা হয় রিঙ্কুকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে বিকেলে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বাড়ি গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের দুধ গাড়ি গ্রামে। সে ওই গ্রামের প্রভাস হালদারের ছেলে।
এই ঘটনায় কানাইখালি মহল্লায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই নারদ বার্তাকে বলেছেন এ কেমন আনন্দ যেখানে বিষাদের ছায়া নেমে এলো! পূজার উৎসবে কি এই মদ বিক্রি কোনরকমে বন্ধ করা যায় না? গত বুধবার বড়াইগ্রামে একইভাবে প্রান্ত সরকার নামে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে একইভাবে কানাইখালি মহল্লার বিশ্বজিৎ নামের এক তরুণসহ দুই জনের করুণ মৃত্যু হয়। গত বছর গুরুদাসপুরেও প্রতিমা বিসর্জনের নৌকা থেকে পড়ে মদ্যপ এক তরুণ নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার পরেও থেমে নেই এমন আনন্দ।
এ ব্যাপারে নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত নারদ বার্তাকে জানান, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমরা পূজার আগেই মদের ভাটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু কীভাবে তারা মদ পেল এবং এভাবে সেবন করে মৃত্যু হলো, আমরা বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
আরও দেখুন
পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!
নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …