নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
হঠাৎই বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। নাটোর সদর, সিংড়া, বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর চার উপজেলায় ৩০ জন নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে উদ্বিগ্ন নাটোরবাসী। করোনা ইস্যূ নিয়ে এখন নতুন করে ভাবা দরকার বলে মনে করছেন নাটোরের সচেতন মহল।
পরিসংখ্যান বলছে, সোমবার পর্যন্ত সর্বমোট ১২৫৭ টি নমুনা প্রেরণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৭৭২ টি নমুনার ফল নেগেটিভ এসেছে এবং ৩৮১টি নমুনার ফলাফল অপেক্ষমাণ রয়েছে। সোমবার নতুন করে ৩০ টি নমুনা পজেটিভ এসেছে। অতএব নাটোরে সর্বমোট করোনা পজিটিভ রোগী ৪৩ জনই রয়েছে। আজ সোমবার নতুন করে ১১৮ টি নমুনা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগে প্রেরণ করা হয়।
নাটোর সদর থেকে ২৭টি, লালপুর থেকে ৩৭ টি, আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে ১০ টি, গুরুদাসপুর থেকে ২৫ টি, বড়াইগ্রাম থেকে ৬ টি, সিংড়া থেকে ১১ টি এবং সিভিল সার্জন অফিস থেকে দুইটি নমুনা প্রেরণ করা হয়েছে। অকার্যকর নমুনা্য সংখ্যা হয়েছে ৬১ টি। যা সবার কাছেই হতাশাজনক।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মিজানুর রহমান জানান তারা সঠিকভাবেই নমুনাগুলো প্রেরণ করছেন কিন্তু রাজশাহীর ল্যাবে কিছু সমস্যা হওয়ার জন্য অকার্যকর নমুনা সংখ্যা বাড়ছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগে নমুনা পরীক্ষা সম্ভব না হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো নমুনার মধ্যে আজকে ৩০ জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।
আজ পজিটিভ রিপোর্ট আসা ৩০ জনের নাটোর সদর হাসপাতালের স্টাফ ৫ জন, সিংড়া ১৩ জন, বড়াইগ্রাম ৯ জন,বাগাতিপাড়া ২ জন এবং গুরুদাসপুরে একজন বলে নিশ্চিত করেছে সিভিল সার্জন অফিস।
সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান জানান, ঢাকা থেকে প্রেরিত রিপোর্ট পর্যালোচনা করে আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে এর ইতিহাস জানাতে পারবো।
২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটির পর থেকে বহুদিন নেগেটিভ থাকার পর নাটোরও পজিটিভ এর তালিকায় উঠে আসায় নাটোরবাসীর সার্বিক করেনা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে আরও উপযোগী পরিকল্পনা করে ব্যবস্থা নেয়ার সময় হয়েছে বলে মনে করেন নাটোরবাসী। সেই সাথে নাটোরে দ্রুত ল্যাব স্থাপন করার দাবি জানিয়েছেন নাটোরের সচেতন মহল।
আরও দেখুন
পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!
নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …