শনিবার , এপ্রিল ২০ ২০২৪
নীড় পাতা / উপ-সম্পাদকীয় / স্মরণ ।। শংকর গোবিন্দ চৌধুরী

স্মরণ ।। শংকর গোবিন্দ চৌধুরী

সৌরেন চক্রবর্ত্তী

আজ ১৩ সেপ্টেম্বর শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর ২৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী। বর্ণাঢ্যময় কর্মজীবনের অধিকারী, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর প্রয়াত শংকর গোবিন্দ চৌধুরী আজীবন দেশ ও জাতির কল্যাণে ব্রত ছিলেন। মানুষ হিসাবে তিনি মনুষ্যত্ব ও মহত্বের যে নিদর্শন রেখে গেছেন তা কখনই ভোলার নয়। তিনি ছিলেন রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙ্গালীর স্বাধীন-সার্বভৌম অস্তিত্ব, বাঙ্গালীর ভাষা, বাংলার মর্যাদা ও অধিকার

প্রতিষ্ঠায় দীপ্ত চেতনা নিয়ে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় অংশ নিতে ১৯৫৪ সনে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। উত্তরাঞ্চলীয় জনপদ নাটোরের সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতা ছিলেন শংকর গোবিন্দ চৌধুরী। নাটোরবাসীর আশা ও ভরসার জায়গা ছিলেন তিনি। প্রায় সবারই “শংকর কাকা”। বেনারস বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট বাবা জ্ঞানদা গোবিন্দ চৌধুরী ছিলেন নাটোরের ভাবনীর প্রজাহিতৈষী জমিদার। শিক্ষিত ও সাংস্কৃতিক পরিবারে শংকর গোবিন্দ চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৬ সনের ৪ মার্চ। তিনি নাটোর, বগুড়ায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক এবং কলকাতায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন। বিদ্যাসাগর কলেজে পড়ার সময়ই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমেই তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরু।

১৯৫৮ সনের আয়ুব খানের সামরিক শাসন, ১৯৬২ সনের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সনের ৬ দফা, ১৯৬৯ সনের আইয়ুব খান-ইয়াহিয়া খান বিরোধী আন্দোলন এবং ১৯৭১ সনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধ হতে সবধরনের আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ছিলেন সক্রিয়। রাজপথ থেকে সংসদ সবখানে তাঁর উপস্থিতি ছিল সরব। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, আবার নিজে একজন সাধারণ কর্মীর মত কাজ করেছেন। ১৯৭৫ সনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সপরিবারে শাহাদাত বরণের ঘটনার পরবর্তী শাসন আমলে সরকার বিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।কোন প্রলোভন বা হুমকি তাঁকে গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে বিরত রাখতে পারেনি। ১৯৮১ সনে দুর্বৃত্তরা তাঁকে চলন্ত “সীমান্ত এক্সপ্রেস” ট্রেন থেকে ফেলে দিয়েছিল হত্যার উদ্দেশ্যে। সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন, তবে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছিলেন। দীর্ঘদিন দেশে ও দেশের বাইরে চিকিৎসা শেষে নাটোরে ফিরেন। ১৯৬৬ সনে ৬ দফা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য এক বৎসর কারাবরণ করেন। এছাড়াও তিনি রাজনৈতিক কারণে অনেকবার কারাবরণ করেন। ১৯৬৯-১৯৮৪ সন পর্যন্ত তিনি একাধিকবার ঐতিহ্যবাহী নাটোর পৌরসভার (১৮৬৯ সনে সৃষ্ট) চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর অত্যন্তস্নেহধন্য ও বিশ্বস্ত ছিলেন তিনি। ১৯৭০ সনের ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে তিনি নাটোর সদর আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সনে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ৭নং সেক্টরের জোনাল কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান ছিলেন। সেখানে অবস্থানরত জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের কৌশলগত বিভিন্ন দিক সম্পর্কে পরামর্শ ও পরিকল্পনা করেন।

শরণার্থী ক্যাম্পে বসবাসরতদের বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ প্রদান বিষয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর তাঁর উপস্থিতিতে নাটোর রাজবাড়ী মাঠে পরাজিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পক্ষে আত্মসমর্পনের দলিলে স্বাক্ষর করেন ব্রিগেডিয়ার নওয়াব আহমেদ আশরাফ এবং বিজয়ীদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ভারতীয় মিত্র বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার রঘুবীর সিং পান্নু। এই দলিল স্বাক্ষরিত হবার সঙ্গে সঙ্গেই নাটোরের আকাশ বাতাস “জয় বাংলা” ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে। ১৯৭২ সনে বাংলাদেশের সংবিধান প্রনয়ন কমিটির অন্যতম সদস্যও ছিলেন।

১৯৭৫ সনে বঙ্গবন্ধু তাঁকে নাটোর জেলার গভর্নর নিয়োগ করেন। উল্লেখ্য গভর্নর নিয়োগ আদেশের সময় তিনি জার্মানীতে একটি প্রশিক্ষণে ছিলেন- বঙ্গবন্ধুই পাঠিয়েছিলেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে বার্তা পেয়ে তাঁকে তাৎক্ষনিক রওনা দিয়ে নির্ধারিত তারিখে ঢাকায় এসে শপথ গ্রহণ করতে হয়। ১৯৯১ সনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনেও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নাটোর সদর আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

মনুষ্যত্ব, নীতি ও আদর্শের পথিক শংকর গোবিন্দ চৌধুরীকে কখনও কোন ধরনের হুমকি বা প্রলোভন ছুঁতে পারেনি। তিনি আমৃত্যু লড়েছেন গণতন্ত্রের অগ্রসৈনিক হিসাবে এবং মানবসেবাকে জীবনের পরমব্রত হিসাবে নিয়েছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি শিক্ষাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি নাটোর রানী ভবানী মহিলা কলেজের (বর্তমানে সরকারী মহিলা কলেজ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। এছাড়া নাটোর বনলতা হাইস্কুল, বড়গাছা হাইস্কুল, শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী হাই স্কুল, দিঘাপতিয়া বালিকা শিশু সদন (এতিমখানা) সহ নাটোরের ডায়াবেটিক হাসপাতাল, আধুনিক বাস টার্মিনাল, নাটোর সুগারমিল তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় গড়ে উঠে। দিঘাপতিয়া রাজবাড়ীকে“উত্তরা গণভবন” ঘোষনার সময়ই তিনি বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন ঐতিহ্যবাহী নাটোর হবে উত্তরবঙ্গের রাজধানী। বঙ্গবন্ধু তাঁকে আশ্বস্ত করেছিলেন। সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলো নাটোর। কিন্তু ১৯৭৫ সনের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বরণের ঘটনার পর সবকিছুই থমকে যায়।

দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে তিনি কতটা নিষ্ঠাবান তা একটি ঘটনাতেই বুঝা যায়। এরশাদ বিরোধী তুমুল গণআন্দোলনের সময় ১৯৯০ সনের ২৯ নভেম্বর রাতে তাঁর কনিষ্ঠা কন্যা রক্তিমা (শেলী)র সহিত আমার বিবাহের অনুষ্ঠানে তিনি কন্যাকে সম্প্রদান করতে পারবেন কিনা-তা নিয়ে বড় সংশয় ছিল। তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন, কেননা সেসময় সান্ধ্য আইন জারী ছিল, নেতা কর্মীদের ব্যাপক হারে ধরপাকড় করা হচ্ছিল। আমি কর্মস্থল মাগুরা থেকে চুয়াডাঙ্গা হয়ে; রেলপথে সান্তাহার হয়ে অনেক কষ্টে পুরো হরতাল-অবরোধ কর্মসূচীর মধ্যে নওগাঁয় গ্রামের বাড়ীতে পৌঁছি। আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ/কর্মীদের সহায়তায় বরযাত্রীসহ নওগাঁ থেকে বগুড়া হয়ে নাটোর পৌঁছি এবং রাতে থমথমে পরিস্থিতির মধ্যেই লগ্ন অনুযায়ী আমাদের শুভবিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় এবং তিনি যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে কন্যা সম্প্রদানের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।

তিনি রাষ্ট্রের আইনের প্রতি কিরূপ শ্রদ্ধাশীল ছিলেন তার দু’টি উদাহরণেই বুঝা যায়। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার কর্তৃক জমির সিলিং নির্ধারণের পরপরই তিনি ১০০ বিঘা জমি নিজে রেখে অনেক জমিজমা তাঁর এলাকার সাধারণ গরীব মানুষের মধ্যে রেজিস্ট্রি করে দেন- যাতে তারা চাষ-বাস করে খেতে পারে। অবশিষ্ট জমি সরকার বরাবর স্যারেন্ডার করেন।

দ্বিতীয়: ১৯৯০ সনের ২৯ নভেম্বর কনিষ্ঠা কন্যার বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথি নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য (নির্ধারিত জনের অতিরিক্ত) সরকারী ফি জমা দিয়ে জেলা প্রশাসকের অনুমতি গ্রহণ করেছিলেন। উল্লেখ্য সংসদ সদস্য থাকাকালীন তিনি ট্যাক্স ফ্রি গাড়ীও নেন নাই। নিজ ক্রয়কৃত ব্যক্তিগত গাড়ী ব্যবহার করতেন।

১৯৯১ সনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে দেয়ালের পর দেয়াল। তারপরও তিনি পোস্টার লাগাবেন না। তাঁর কঠোর হুঁশিয়ারী‘ ছবি দিয়ে চিনাতে হবে শংকর গোবিন্দ চৌধুরী-কে?’ ছবি দিয়ে তাঁকে চিনানোর প্রয়োজন হয়নি। অভিজাত পরিবারের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তাঁর আচার ব্যবহার ছিল সাধারণের ন্যায়। দলের নেতা-কর্মীরা তাঁকে একজন আদর্শ নেতা হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। তিনি কখনও জাতি-ধর্ম-বর্ণকে মনুষ্যত্বেরউর্দ্ধে স্থান দেননি। “সবার উপরে মানুষ সত্য” তিনি এ নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। কোন গোঁড়ামী বা সংকীর্ণতা তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। আজও তিনি নাটোরবাসীর কাছে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত। সমাজে আজ তাঁর মত মানুষ বড়ই প্রয়োজন। দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে নিষ্ঠাবান এবং প্রগতিশীল চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী শংকর গোবিন্দ চৌধুরী ছিলেন একজন সদালাপী ও মার্জিত রুচি সম্পন্ন ব্যক্তি। আমৃত্যু তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিতে এবং নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দেখে যেতে চেয়েছিলেন। বারংবার তা বলতেন। তাঁর প্রতিজ্ঞা ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাঁর বাড়িতে ১৫ আগস্ট উনুন জ্বলবেনা। তিনি দেখে যেতে পারেননি তবে সেই নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে- তাঁর আত্মা নিশ্চয় শান্তি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর হিসাবে তিনি ছিলেন মুজিবাদর্শের একনিষ্ট অনুরাগী।

তিনি দীর্ঘদিন থেকে নানান রোগে ভুগছিলেন। ১৯৯৫ সনের ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পরলোক গমন করেন। তাঁর মৃত্যুতে মূহুর্তের মধ্যে কর্মচঞ্চল নাটোরসহ এতদঅঞ্চল হয়ে পড়ল নিস্তব্ধ। প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রয়াত নেতার মরদেহ ঢাকা থেকে আসবে বলে তাকে এক নজর দেখার জন্য রাজপথে জনতার ঢল নামে। নগরবাড়ী থেকে (তখনও বঙ্গবন্ধু ব্রীজ হয়নি) নাটোর আসার পথে নগরবাড়ী, পাবনা, দাশুরিয়া, বড়াইগ্রাম, বনপাড়া, আহম্মেদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে প্রয়াত নেতাকে একনজর দেখার জন্য জনতা রাস্তায় ভিড় জমায়। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় প্রয়াত এ নেতাকে। নাটোর শহর প্রদক্ষিণ শেষে শহর থেকে নিজ গ্রাম ভাবনীতে, নিজ পিতৃভূমিতে জন্মভিটায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাজার হাজার লোকের উপস্থিতিতে পৈতৃক ছাতনী শ্মশানে এ নেতার অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। দেখেছি সেই রাতে সমগ্র নাটোরের মানুষ রাস্তা ঘাটে শুয়ে গড়াগড়ি করে কান্নাকাটি ও বিলাপ করছিল। সে শোকের দৃশ্য ভোলার নয়।

বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর মধ্যে বিরাজমান ছিল পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আস্থার সর্ম্পক। জননেত্রীর সঙ্গে তাঁর সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর জননেত্রীশেখ হাসিনা নাটোর গিয়ে তাঁর স্ত্রী অনিমা চৌধুরী (আমৃত্যু জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন)সহ শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান এবং নাটোরের কানাইখালী মাঠে বিশাল স্মরণ সভায় উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সনের ১২ জানুয়ারী নাটোরে তাঁর স্মরণে “শংকর গোবিন্দ চৌধুরী” আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণ শেষে উদ্বোধন করেন। এখানেই শেষ নয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৮ সনে তাঁকে “স্বাধীনতা পুরস্কার (মরণোত্তর)” প্রদান করেন। যা তাঁর পক্ষে কনিষ্ঠা কন্যা রক্তিমা চক্রবর্ত্তী (শেলী) গ্রহণ করেন।

রাজধানী ঢাকাসহ একাধিক বিভাগ ও জেলার সংযোগস্থল নাটোর বাইপাসে তাঁর স্মরণে নির্মিত “শংকর গোবিন্দ চৌধুরী চত্বর” এ অবস্থিত তাঁর ম্যুরালটি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বিনম্র শ্রদ্ধা জাতির পিতার প্রতি, আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি-নাটোরের এই অবিসংবাদিত নেতাকে যথাযথ মূল্যায়ন করার জন্য।

লেখক: সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী (সৌরেন)
সাবেক সিনিয়র সচিব
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

আরও দেখুন

নাটোরে গাঁজা সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর 

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরে পৃথক দুইটি অভিযানে  ১৮ কেজি গাঁজা সহ রুহেল আহমেদ (২৬) ও  গোলাম …