নিজস্ব প্রতিবেদক, চাপাইনবাবগঞ্জঃ
বাংলাদেশের বৃহৎ কানসাট আমবাজার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে জমে উঠল আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাজারগুলো। প্রথম দিনে হিমসাগর ও গোপালভোগ আম পাড়া হয়। পর্যায়ক্রমে অন্য আম বাজারে নামানো হবে। এছাড়াও জেলার অন্যতম আমবাজার সদরঘাট, তহাবাজার, গোমস্তাপুর, রহনপুর ও ভোলাহাট আমবাজারেও আম বেচাকেনা শুরু হয়েছে আজ থেকে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বড় আমবাজার কানসাট আমবাজারের শুভ উদ্বোধন করা হয় আজ মঙ্গলবার দুপুরে। আমচাষীরা বলছেন, আজ আনুষ্ঠানিকভাবে আম বাজারজাত উদ্বোধন করা হলেও আগামীকাল থেকে কানসাট আম বাজারে আম বেচাকেনা শুরু হবে।
তারা আরো বলেন, স্বাস্থবিধি মেনেই আম বাজারে আম বেচাকেনা করা হবে।
এসময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা.সামিল উদ্দীন আহমেদ শিমুল বলেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে আম বাজারজাত ও কেমিক্যালমূক্ত আম ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানো হবে সারাদেশে। নিরাপদ আম সরবরাহ করতে সরকারের পক্ষ হতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন,করোনা ভাইরাস হতে মুক্ত থাকতে শ্রমিকসহ আমের সঙ্গে জড়িত সবাইকে মাস্ক, পিপিই ও হ্যান্ডগ্লোবস সরবরাহ করা হয়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ শিমুল আকতার জানান,দেশের বিভিন্নস্থান হতে আসা আম ব্যাপারী ও ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কানসাট এবং শিবগঞ্জ বাজারে একাধীক আবাসিক হোটেল নির্দ্ধারন করা হয়েছে। তারা যেন কোনভাবেই হয়রানীর শিকার না হয়, সে জন্য প্রশাসনিকভাবে সকল প্রস্ততি গ্রহন করা হয়েছে।
এদিকে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম আমিনুজ্জামান জানান, সৃজনাল আম উৎপাদন কমিয়ে বারমাসি আম উৎপাদনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ হওয়ার অনুরোধ করেন উপজেলা কৃষি কর্মকতা এস এম আমিনুজ্জামান। তিনি বলেন,এখন প্রচুর পরিমানে বারমাসি আমের চারা পাওয়া যাচ্ছে। ফল যেহেতু সারা বছর প্রয়োজন সে ক্ষেত্রে বারমাসি আমের ভাল দাম পাওয়া যাবে।
কানসাট আম আড়ৎদার সমিতির সাধারন সম্পাদক উমর ফারুক টিপু জানান, শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আম আম ক্রয় বিক্রয় ও প্যাকেটজাত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে কানসাট আম আড়ৎদার সমিতির পক্ষ হতে। প্রতিটি আড়তের প্রবেশ মুখে বসানো হচ্ছে হাত ধোয়ার বেশিন।
সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে,বিগত বছরগুলোতে শুধু কানসাট বাজারে প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১২ কোটি টাকার আম বেচা-কেনা হলেও চলতি মৌসুমে কিছুটা কম বেচা কেনা হবে বলে দাবি করেন আম ব্যবসায়ীরা।