নিউজ ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়াটারএইড বলেছে, আগামী দুই দশকে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন বা স্বাস্থ্যবিধিতে (ওয়াশ) বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করে সবার জন্য সুপেয় পানি, পরিচ্ছন্ন টয়লেট এবং হাইজিন নিশ্চিত করার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতি চাঙ্গা হতে পারে। সংস্থার এক নতুন প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জনস্বাস্থ্যের জন্য পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিনে (ওয়াশ) সরকার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক দাতাদের বিনিয়োগ অপরিহার্য, যা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য অত্যাবশ্যকীয় (গরংংরড়হ ঈৎরঃরপধষ)
এবং ভবিষ্যৎ অতিমারি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি পরিকল্পনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন প্রকল্পগুলোতে যুক্তরাজ্য সরকারের দ্বিপক্ষীয় বৈদেশিক তহবিল ৮০ শতাংশের বেশি কর্তনের পর এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে প্রণীত এ প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ ও ইথিওপিয়ায় ওয়াশ বিনিয়োগের কিছু কেস স্টাডির উলেস্নখ করে এর উলেস্নখযোগ্য স্বাস্থ্য ও সময়-সাশ্রয়ী সুবিধা বিশেষত নারী এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সুবিধার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
ওয়াটারএইডের প্রধান নির্বাহী টিম ওয়েনরাইট বলেন, ‘অতিমারির আগের পরিস্থিতি আবার ফেরত নাও আসতে পারে। কোভিড-১৯ মোকাবিলা, সম্ভাব্য অতিমারির প্রস্তুতি এবং সবুজ বা পরিবেশবান্ধব পুনরুদ্ধার পরিকল্পনায় পানি, স্যানিটেশন এবং হাইজিনকে প্রাধান্য দিয়ে সঠিক কাজটি করতে এবং সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দিতে ওয়াটারএইড সরকার, দাতা সংস্থা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।’
ওয়াটারএইড বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, ‘ওয়াশ খাতে বিনিয়োগ তুলনামূলক কম ব্যয়ে অর্থনৈতিক সুযোগ ও স্বাস্থ্য সংরক্ষণের সম্ভাবনা উন্মোচন করতে পারে। এছাড়া কোভিড পরবর্তী প্রণোদনা ব্যয়ের মূল উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়নে এবং ক্রমবর্ধমান জলবায়ু ঝুঁকিসমূহ মোকাবিলায় এই বিনিয়োগ সহায়ক হতে পারে।’