নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর:
পারিবারিকভাবেই বিয়ে দিয়েছিলেন মেয়ে আইরিন সুলতানা (২৬)কে। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বিয়ের সময় জামাই মাসুদ রানা (বর্তমান পুলিশ সদস্য)কে যৌতুক হিসেবে সাড়ে ৩ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে জামাইয়ের বাড়িতে ঘর দেওয়ার জন্য হাওলাত দেন আরও ৫ লাখ টাকা। বিয়ে দেওয়ার ১১ বছর পর মেয়ের সেই সুখের সংসারে নেমে এসেছে কালো মেঘের ঘনঘটা। মেয়েকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে এসে কান্না জরিত কন্ঠে এমনটাই বলছিলেন বিয়াঘাট ইউনিয়নের বিলহরিবাড়ী গ্রামের আরদোশ আলী।
সংবাদ সম্মেলনে আইরিন সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, ‘তার স্বামী পুলিশ সদস্য মাসুদ রানা বিয়ের ৫/৬ বছর পর থেকেই বিভিন্নভাবে যৌতুকের জন্য মারপিট করতো। সংসারে ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে শত কষ্ট মাথা নিয়ে সংসার করেছেন তিনি। কিন্তু সেই স্বামী পরকীয়া আসক্ত হয়ে তার সাথে দেড় মাস হলো যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। বুধবার স্বামীর বাড়িতে বিকেলে গেলে তার শ্বাশুড়ি একটি কাগজ ধরিয়ে দিয়ে গেটে তালা দিয়ে চলে যায়। তিনি জানেন না কিসের সেই কাগজ। তিনি চান স্বামীর ঘর সংসার করতে। ৫ মাস আগে তাকে মারপিট করে চাকুরীতে চলে যায় তার স্বামী। চাকুরীতে চলে যাওয়ার পর কথা হলেও দেড় মাস ধরে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন আরও ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করছে মাসুদ রানা। মাসুদ রানা উপজেলার পাঁচশিষা গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে।
পুলিশ সদস্য মাসুদ রানা এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দেশের আইন মেনেই তিনি তার স্ত্রী আইরিন সুলতানাকে ডিভোর্স দিয়েছেন। দেনমোহর ও খোরকোষ বাবদ যে টাকা পাবে সেই টাকা দিতে তিনি সব সময় প্রস্তুত।
আরও দেখুন
রাণীনগরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারপিট করে ১৫ভরি স্বর্ণের ও
১০০ভরি চান্দির গহনা ছিনতাই নিজস্ব প্রতিবেদক রাণীনগর,,,,,,,,,, নওগাঁর রাণীনগরে দোকান থেকে বাড়ী ফেরার পথে পথ …