নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর:
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিলহরিবাড়ি গ্রামে সুবর্ণা (১৯) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটলে বুধবার সকালে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
নিহত সুর্বণার বাবা কৃষক হাফিজুর রহমান অভিযোগ করেন, যৌতুকের জন্য জামাই এবং শ্বাশুড়ী প্রায়ই তার মেয়েকে নির্যাতন করতো। বুধবার সকালে হঠাৎ করেই খবর পান তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।
জানা যায়, সুর্বণার বাবার বাড়ি তাড়াশ উপজেলার কুন্দইল গ্রামে। তিন বছর আগে গুরুদাসপুরের বিলহরিবাড়ি গ্রামের জামাল মোল্লার ছেলে সাগরের (২৫) সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সাগর পেশায় কৃষক।
সুর্বণার মা শাহানাজ বেগম জানান, জামাই সাগরের মা সম্পর্কে তার আপন বোন। বোনের পিরাপিরিতেই মেয়েটিকে বিয়ে দিয়েছিলেন। বিয়ের সময় গহনা ও নগদ ৪০ হাজার টাকাও দিয়েছিলেন। কিন্তু বোন ও জামাই তার মেয়েটিকে কারণে অকারণে নির্যাতন করতেন।
বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাগরের পরিবার দাঙ্গা প্রকৃতির। ওই পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ রয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাজ্জাক জানান, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে তিনি নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।