নিউজ ডেস্ক:
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার পর যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া এবং ত্যাগ স্বীকারকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতারও প্রশংসা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে একটি প্রস্তাব তোলা হয়েছে। এতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার পর যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া ও ত্যাগ স্বীকারকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতার বিষয়টিও উঠে এসেছে প্রস্তাবে।
জনগণকে অভিনন্দন দেয়ার পাশাপাশি প্রস্তাবের শুরুতে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার তথ্য উল্লেখ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ত্যাগ স্বীকারকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতার বিশেষ প্রশংসা করা হয়েছে। ৯ মাসের যুদ্ধে লাখো শহিদ ও বাস্তুচ্যুতদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানানো হয়। একই সঙ্গে গণতন্ত্রের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, তাদেরও স্মরণ করা হয়।
কংগ্রেসে আলোচিত নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসওম্যান (ডেমোক্র্যাট) আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো-অরটেজ ‘কমেমরেটিং দ্য ফিফটিয়েথ অ্যানিভার্সারি অফ বাংলাদেশ’স ইন্ডিপেন্ডেন্স’ শিরোনামের এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন গত ১৬ মার্চ।
প্রতিনিধি পরিষদে পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান গ্রেগরি মিক্স, মিশিগানের কংগ্রেসওম্যান রাশিদা তালিব এবং ক্যালিফোর্নিয়ার কংগ্রেসম্যান জিমি গোমেজ এতে সহযোগিতা করেন।
প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন যাতে দুই দেশই মুক্তির জন্য ভালোবাসাকে প্রাধান্য দেয়।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারে চালানো গণহত্যা এড়াতে রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ।
একই সঙ্গে, প্রস্তাবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সরকারের নেয়া আদর্শিক ও নীতিমালার প্রতিও সমর্থন জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী দেশব্যাপী উদযাপিত হচ্ছে নানা আয়োজনে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানের বাংলাদেশ সফর, অনেকের পাঠানো ভিডিওবার্তা ও স্মারক উপহারসামগ্রীতে বর্তমান সরকার ও বঙ্গবন্ধুর ভূয়সী প্রশংসা করা হচ্ছে। ঠিক এমন একটি সময়ে বাংলাদেশ সম্পর্কিত প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয়েছে কংগ্রেসে।