নিউজ ডেস্ক:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হিন্দু নেতাদের বৈঠক : মণ্ডপের নিরাপত্তায় আনসার, থাকতে হবে সিসি ক্যামেরা
দুর্গাপূজা চলাকালে গত বছর দেশে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক সহিংস ঘটনার অভিজ্ঞতা থেকে এ বছর সতর্ক সরকার। ১ অক্টোবর থেকে দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। আসন্ন দুর্গাপূজায় এবার নেওয়া হচ্ছে বাড়তি সতর্কতা। আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে বিশেষ তৎপর থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। দুর্গোৎসবের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল রবিবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বছর সারাদেশে ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজামণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু রাখার জন্য সবধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা বলেছি, এই সংখ্যা যেন আর না বাড়ে। এ জন্য পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের অনুরোধ করা হয়েছে। পূজাকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের নাশকতার কোনো আশঙ্কা নেই।
মন্ত্রী জানান, এ বছর পূজামণ্ডপে স্থায়ীভাবে আনসারবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে আর্মব্যান্ড পরা বাধ্যতামূলক। পূজামণ্ডপে অবশ্যই সিসি ক্যামেরা থাকতে হবে। এমন জায়গায় পূজামণ্ডপ করা যাবে না, যেখানে গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না। শিশু ও নারীদের নিরাপত্তায় ইভটিজিং বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেকোনো জরুরি কাজে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার ব্যবস্থা থাকবে। পুলিশ সদর দপ্তর ও জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুম থাকবে। সেখানে যেকোনো তথ্য জানাতে পারবেন সবাই। পূজামণ্ডপকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পুরান ঢাকাসহ যেসব স্থানে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে সেসব স্থানে যানজট নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হবে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কঠোর মনিটরিং করা হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে আজানের সময় পূজামণ্ডপের বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৈঠক প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্র নাথ পোদ্দার বলেন, সরকারের কাছে আমরা সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি করেছি। তবে আমরা পুলিশি পাহারায় কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপিত হোক, তা চাই না। পূজা, ঈদ, বড়দিন কিংবা বৌদ্ধপূর্ণিমা যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করতে পারি, সেটিই আমাদের দাবি।
তিনি আরো বলেন, মণ্ডপের সংখ্যা বাড়া-কমার বিষয়টি সম্পূর্ণই আয়োজকদের সিদ্ধান্ত। আমরা কাউকে পূজা না করার কথা বলতে পারি না। তবে দুই পক্ষের দ্ব›েদ্বর কারণে পূজামণ্ডপের সংখ্যা বাড়ার বিষয়টিকে আমরা নিরুৎসাহিত করছি। মণ্ডপের নিরাপত্তায় সরকারের পাশাপাশি আয়োজকদেরও নিজস্ব প্রস্তুতি থাকতে হবে বলে আমি মনে করি।