কলমে- ভাস্কর বাগচি
সময়ের প্রয়োজনে রাষ্ট্র কে নতুন নতুন আইন তৈরী করতে হয়। আবার কোন বিশেষ অপরাধ দমনের জন্য ও আইন তৈরীর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ফলে তৈরী হয় বিশেষ আইন বা স্পেশাল ‘ল। বাংলাদেশ তৈরীর পর অনেক বিশেষ আইন তৈরী হয়েছে। যেমন নারী শিশু নির্যতন দমন আইন, অর্পিত সম্পদ প্রত্যার্পন আইন ইত্যাদি। এই আইন গুলোর ৩ ধারা গুলোতে একটি কথা লেখা থাকে, “আপাত বলবৎ অন্য আইনে যাহাই থাকুক না কেন এই আইনের বিধানাবলী প্রধান্য পাইবে।” আবার শেষের দিকে কোন ধারায় বলা হয় এতো দিনের ভিতর বিচার শেষ করিতে হইবে, এতো দিনের ভিতর পুলিশ রিপোর্ট (ফৌজদারী ক্ষেত্র) দিতে হবে।
সমস্যা দেখা দেয় এই যে বলা হয় এতো দিনের ভিতর বিচার শেষ করিতে হইবে কিন্তু না করিলে কি হইবে? তা বলা থাকেনা। ফলে কারো দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হয় না। যার দরুন বিচার পড়ে থাকে বছরের পর বছর। আবার পুলিশ রিপোর্ট নিদিষ্ট সময়সীমার ভিতর না দেওয়ার জন্য কোন তদন্তকারী কঠিন শাস্তি প্রাপ্ত হয়েছেন এমন নজির নিকট অতীতে নাই।
অন্যদিকে আদালতের আদেশ বা ডিক্রী বাস্তবায়ন না করাও একটা অপরাধ! অর্পিত মামলা গুলোতে দেখি আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন হচ্ছে না! আদালতের আদেশ ডিক্রি বাস্তবায়ন করে অর্পিত মামলায় আদালতকে অবগত করার কথা ঐ আইনেই বলা আছে কিন্তু আমার জানা মতে দেশের কোন অর্পিত ট্রাইবুনাল এমন অবগত প্রতিবেদন পায়নি।
এসব কারনে বিশেষ আইন গুলো বিচার প্রার্থীদের খুব একটা উপকারে আসছে না। অন্যদিকে ৩ ধারায় ঐ আইনটির প্রাধান্যের বিষয়ে উদাসীনতা দেখা যায়। আবার বেশ কিছু পুরাতন বিশেষ আইন সংস্কার দরকার। যেমন -১৯৯১ সালের বাড়ী ভাড়া নিয়ে আইনটি দেওয়ানী টার্ম থেকে ফৌজদারী তে আনতে বলছেন অনেক আইনবিদগণ! এতে দেশে যে বিপুল ভাড়া বাসায় থাকেন এমন লোকগুলির বিশেষ উপকার হবে। অন্যদিকে এন, আই এক্ট্যের মামলা গুলি পুনরায় ম্যাজিষ্ট্রট কোর্টে বিচার চালু করলে জজকোর্ট এর অন্য মামলা গুলির গতি বৃদ্ধিপাবে। আশা রাখি সবাই বিষয় গুলি ভেবে দেখবেন।