নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর
গভীর প্রেম শুধু কাছেই টানেনা, উহা দূরেও ঠেলিয়া দেয়। এমনই ঘটনা ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুরে। সোহাগ ও জুলিয়া পরস্পর দুজনকে ভালবাসে। ওরা রাজশাহীতে পড়ালেখা করে। সোহাগ পড়ে পলিটেকনিক্যালে আর জুলিয়া সিটি কলেজে। সোহাগ জুলিয়াকে বিয়ে করতে চেয়েছিল।
হঠাৎ গত বৃহস্পতিবার সোহাগের বাড়িতে স্বামীর মর্যাদার দাবীতে অবস্থান নেয় জুলিয়া। এত তাড়াতাড়ি জুলিয়ার এ ধরণের কাণ্ডে হতচকিত হয় সোহাগ। সারাদিন না খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে জুলিয়া। সোহাগের পরিবার ওপরে ঠিকঠাক থাকলেও ভেতরে ভেতরে জুলিয়াকে মেনে নিতে রাজি ছিলনা। এদিকে তার বাড়িতে অবস্থান নেয়া জুলিয়াকে দেখতে আসে শত শত মানুষ।
জানা গেছে, ওই বাড়িতে উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে দুপক্ষের অভিভাবকদের নিয়ে দু’দফা বৈঠকও হয় মিমাংসার জন্য। কিন্তু নানা গুঞ্জন, নানান চাপ আর ক্ষোভে দুঃখে সোহাগ রাত সাড়ে ১২টার দিকে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। সোহাগের অপমৃত্যুতে সকল প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়।
অপরদিকে প্রেমিকের আত্মহত্যার কথা শুনে শুক্রবার সকালে হারপিক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে জুলিয়া। তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্যে ভতির্ করা হয়েছে। এই হলো সোহাগ জুলিয়ার প্রেমের করুণ পরিণতি।
সোহাগ (১৯) পৌর সদরের আনন্দনগর গ্রামের গেন্ডারী বিক্রেতা শফিকুল ইসলামের ছোট ছেলে ও জুলিয়া (১৭) খামারনাচকৈড় মহল্লার জহুরুল ইসলাম ওরফে দুদু ড্রাইভারের মেয়ে।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও দেখুন
নাটোরে গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা চাইলেন নবাগত জেলা প্রশাসক
নিজস্ব প্রতিবেদক …………… নাটোরে গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা চাইলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মিজ আসমা শাহীন। জেলা প্রশাসনের …