শুক্রবার , সেপ্টেম্বর ২০ ২০২৪
নীড় পাতা / পূর্ববঙ্গ / সোমেশ্বরী নদী থেকে বালু লুটের মহাউৎসব হুমকির মুখে পরিবেশের ভারসাম্য

সোমেশ্বরী নদী থেকে বালু লুটের মহাউৎসব হুমকির মুখে পরিবেশের ভারসাম্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর:
শেরপুরের সীমান্তে সোমেশ্বরী নদী থেকে বালু লুটের মহাউৎসব চলছে। স্থানীয় বালু দস্যুরা দীর্ঘদিন ধরে এ নদী থেকে বালু লুটপাট চালিয়ে আসছে। বেপরোয়াভাবে চলছে বালু উত্তোলন। ফলে নদীর দুপাড় ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। সরকার বঞ্চিত হচ্ছে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আয় থেকে। এতে নদীর দুপাড় ভেঙ্গে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়ে। হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়ে প্রাণ বৈচিত্র ও পরিবেশের ভারসাম্য। বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যেই চালানো হয় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। ধ্বংস করা হয় বালু উত্তোলন যন্ত্র।

কিন্তু বালু লুটপাট বন্ধ হয়নি। ফলে প্রতিবছর এ বালু মহল থেকে  সরকার বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল পরিমানে রাজস্ব আয় থেকে। বালিজুরী গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, বালু দস্যুরা অর্ধশতাধিক শ্যালো মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু লুটপাট করে আসছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, এখান থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০/৬০ ট্রাক বালু উত্তোলন ও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে।

দিনেরাতে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। বালু ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,  প্রতি ট্রাক বালু বিক্রি করা হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এতে প্রতিদিন গড়ে ৫/৬ লাখ টাকা মূল্যের বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। গত ৪ জুন বৃহস্পতিবার শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে পরিচালনা করা হয় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। ধ্বংস করা হয় ৯টি বালু উত্তোলন যন্ত্র। কিন্তু বালুদস্যুদের বিরুদ্ধে স্থায়ীভাবে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় বন্ধ হচ্ছেনা অবৈধ বালু উত্তোলন।

জানা গেছে, ওই অভিযানের পর থেকেই আবারো পুরোদমে শুরু হয়েছে বালু লুটপাট। বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলনের ফলে বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিভিন্ন সময় আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু বন্ধ হয়নি অবৈধ বালু উত্তোলন। শ্রীবরদী উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বলেন, গত মাসে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের পর গত কয়েকদিন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ ছিল।

বর্তমানে আবার পুরোদমে শুরু হয়েছে। ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদ ও শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা আক্তার বলেন, ৪ জুন অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলন যন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে আবারও ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো হবে।

আরও দেখুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির নেতা আশরাফুল হক নিজ দলের চাঁদাবাজির টাকা ফেরত দিলেন দুইটি পরিবারকে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুন্দরপুর এলাকায় ৫ তারিখের পর থেকে বেশ কয়েকটি অসহায় পরিবারের কাছ থেকে …