নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়া:
রমজানের শুরু থেকে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সেহরি, ইফতার ও তারাবির নামাজের সময়ে লোডশেডিং হওয়ায় জনসাধারণে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
প্রথম রোজা থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত উপজেলার সদর, পাঁকা, জামনগর, দয়ারামপুর ও ফাগুয়াড়দিয়ার সহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
তাদের অভিযোগ, ইফতার ও তারাবির নামাজ পর্যন্ত অনেক স্থানে বিদ্যুৎ থাকে না। আবার কিছু স্থানে বিদ্যুৎ এসেই চলে যায়।
পাঁকা ইউনিয়ন এলাকার বাসিন্দা ও গালিমপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক গাজিজুর রহমান বলেন, ‘তারাবি ও সেহরির সময় ঠিকমত বিদ্যুৎ থাকছে না। দুর্বিষহ গরমের ভেতর তারাবির নামাজ আদায় করতে হচ্ছে। আবার সেহরির সময়ের ঠিক আগে বিদ্যুৎ নাই। এটি গ্রাহকদের সঙ্গে এক প্রকার তামাশা।’উপজেলার সরকারি ডিগ্রী কলেজ ছাত্র রাকিব হোসেন বলেন, ‘এমনিতেই সব সময় সমস্যা করে বিদ্যুৎ। এখন রমজান মাসেও সমস্যা করতাছে। রাতে সেহরির সময় কারেন্ট না থাকলে খুব সমস্যা সৃষ্টি হয়।’
জামনগর ঘোষপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ওমর আলী বলেন, ‘রাতে তারাবির নামাজে দাঁড়ালে গরমে শরীর দিয়ে ঘাম পড়ে। অথচ রমজান মাসে নিয়মিত কারেন্ট থাকার কথা কিন্তু একদিনও ঠিকমতো পেলাম না।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার এমদাদুল হক বলেন, ‘গ্যাস সংকটে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না। বিধায় আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ প্রাপ্ত না হওয়ায় সরবরাহে ঘাটতি হচ্ছে।
‘এ গরমে গ্রাহক চাহিদার চাপ বাড়ায় অতিরিক্ত লোডের কারণের লোডশেডিং হচ্ছে। রমজানে এমন পরিস্থিতির জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল বলেন, ‘আমরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অনুরোধ করেছি যেন সেহরি ও ইফতার সময়ে বিদ্যুৎ সচল থাকে। তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন সংকটের কথা জানিয়েছে। তারা আশ্বস্ত করেছে, সেহরি ও ইফতার সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।’