টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় আজ বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর শীতকালীন বহিরঙ্গন অনুশীলনের চূড়ান্ত মহড়া দেখেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এই চূড়ান্ত মহড়ার মধ্য দিয়েই শেষ হয়েছে সেনাবাহিনীর তিন সপ্তাহব্যাপী শীতকালীন প্রশিক্ষণ ২০২২-২০২৩ ‘অনুশীলন নবউদ্যোগ’। সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশন সফলভাবে এই অনুশীলন পরিচালনা করে।
অনুশীলনে সাঁজোয়া বহর, এপিসির পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ছত্রীসেনারা অংশ নেন। আর্মি এভিয়েশনের হেলিকপ্টার ব্যবহার করে আর্মি কমান্ডো সন্নিবেশ, ইঞ্জিনিয়ার্স কর্তৃক প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং পদাতিক ও অন্যান্য কোরের সমন্বয়ে শত্রু অবস্থানের ওপর আক্রমণ পরিচালনা করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলম, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরী, সেনাসদরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ও অন্যান্য জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা।
গত ১৯ ডিসেম্বর শীতকালীন প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে সেনাসদর ও সেনাবাহিনীর সকল ফরমেশন পূর্ণাঙ্গরূপে নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন হয়। জাতির গর্ব ও আস্থার প্রতীক সেনাবাহিনীর এবারের শীতকালীন প্রশিক্ষণের প্রতিপাদ্য- যুদ্ধ পারঙ্গমতা, যুদ্ধোপযোগিতা ও রণপ্রস্তুতি প্রদর্শন। দেশসেবায় নিজেদের প্রস্তুত করে তুলতে সরেজমিনে বাস্তবধর্মী সামরিক বিষয়াদি অনুশীলনের মাধ্যমে পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতার উন্নয়নই এই অনুশীলনের মূল লক্ষ্য। এ ছাড়া এ বছর শীতকালীন বহিরঙ্গন অনুশীলনে অধিকতর বাস্তবধর্মী ও অভিনব জ্ঞানের প্রতিফলন ঘটানো হয়। সেনাপ্রধানের নতুন কৌশলের উদ্ভাবন, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বিভিন্ন প্যারা মিলিটারি ফোর্সের সমন্বয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য এই অনুশীলনের পরিকল্পনা করা হয়।
প্রতি বছরের মতো এবারও শীতকালীন প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ফরমেশনসমূহ নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অসহায় ও দুঃস্থ শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র ও ত্রাণ বিতরণ, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান ও ওষুধ বিতরণসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ করেছে। বিভিন্ন এলাকায় গবাদিপশুর বিনামূল্যে চিকিৎসা, পরামর্শ ও ওষুধ বিতরণও করা হয়েছে। আইএসপিআর।