নিউজ ডেস্ক:
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বিজয় দিবসে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠানমালা সাজাচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।
১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশি-বিদেশি অতিথিদের উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় হবে দু’দিনের আয়োজন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে বলে জানিয়েছেন বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছিলেন, বিজয়ের আয়োজনে যোগ দেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে এটাই হবে তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।
কামাল চৌধুরী বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অনুষ্ঠানমালায় আলোচনার পাশাপাশি দেশের নানা প্রান্তের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ সময়কে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করে।
এর অংশ হিসেবে গত বছর উদযাপনের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হলেও করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে তা সীমিত করে আনতে হয়। পরে মুজিববর্ষের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এ বছর মার্চে স্বাধানীতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর জোড়া আয়োজন একসঙ্গে চলে ১০ দিন ধরে। প্রতিবেশী দেশগুলোর রাষ্ট্রনেতারা তাতে সরাসরি অংশ নেন।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে বাংলাদেশ। আর এর মধ্য দিয়েই মুজিববর্ষ উদযাপনের সমাপ্তি ঘটার কথা।
কামাল চৌধুরী বলেন, বিজয় দিবসের আয়োজনের আগে ২৯ নভেম্বর টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে ‘টুঙ্গিপাড়া : হৃদয়ে পিতৃভূমি’ আয়োজনের পরিকল্পনা হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তা বাতিল করা হয়েছে।
“এসএসসি পরীক্ষার পর সামনে এইচএসসি পরীক্ষার কারণে তা পেছানোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানুয়ারি মাসের যে কোনো সুবিধাজনক সময়ে আয়োজনটি হবে।”
মঙ্গলবার বাস্তবায়ন কমিটির ১২তম সভায় বিজয় দিবসের আয়োজনের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা উৎসব আয়োজন ও কয়েকটি প্রকাশনা বের করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।