বৃহস্পতিবার , মার্চ ২৮ ২০২৪
নীড় পাতা / আইন-আদালত / সুনামগঞ্জের শাল্লায় দুই ভাসুরের হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার দুই সন্তানের জননী

সুনামগঞ্জের শাল্লায় দুই ভাসুরের হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার দুই সন্তানের জননী


নাইম তালুকদার  সুনামগঞ্জ: 
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাও ইউনিয়নের শশারকান্দা গ্রামের ওমন প্রবাসীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননীকে দুই ভাসুরের  দ্বারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার, ঘরের টাকা ও জিনিসপত্র লুঠ করে  গৃহবধুকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে শশুর বাড়ির লোকজন। এমন ঘটনায়  গত ১৯ মে নির্যাতিতা গৃহবধূ সুনিয়া বেগম বাদি হয়ে দুই ভাসুর নবাব মিয়া (৬০) ও শাহ আলম (৪০) ও তাদের দুই সহধর্মিনেিক বিবাদি করে শাল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সুত্রে  জানা যায়  শশাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা মো: আব্দুল খালেক ওমান প্রবাসী হিসেবে বিদেশ  যাওয়ার সময় তার নিজ  বাড়িতে তাহার স্ত্রী সুনিয়া বেগম(২৩) ও দুই সন্তান জান্নাত(৪) ও মেয়ে মাহা (দেড় বছর)কে রেখে যান। ওমান প্রবাসী আব্দুল খালেক বিদেশ থেকে তার স্ত্রী সুনিয়া বেগমের নামে  দুই সন্তানের লালন পালন ,লেখাপড়া ও সংসারের খরচের জন্য  টাকা পাঠালে গৃহবধূর আপন দুই ভাসুর  শশাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা মো ইমান আলীর ছেলে নবাব মিয়া (৬০) ও শাহ আলম (৪০) ও তাদের দুই সহধর্মিনী  মিলে  সুনিয়ার বেগমের কাছে পাঠানো  ৩০ হাজার টাকা  চলতি বছরের  ১০ জানুয়ারী  রাতের আধারেঁ ঘরের দরজা ভেঙ্গে সুনিয়ার বসতঘরে প্রবেশ করে তার শিশু মেয়েকে জিম্মি করে ৩০ হাজার টাকা ঘর থেকে লুঠ করে নিয়ে যায় । এসময় ভাসুরগন মিরে সুনিয়া বেগমকে ব্যাপক মারধর করে আহত করেন এবং সুনিয়ার দুই সন্তানকে প্রানে  মারার হুমকি প্রদান করে  বাড়ি থেকে জোরপূর্বক বের করে দেন  শশুরবাড়ির লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারী। গত  ৫মাস ধরে প্রবাসীর স্ত্রী স্বামীর বসত ঘরে থাকার কোন সুযোগ না পেয়ে আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে জীবন কাটাচ্ছেন অসহায় সুনিয়া বেগম ও তার দুই শিশু সন্তান।  তিনি দুটি সন্তানকে নিয়ে বর্তমানে দিরাই উপজেলা চরনাচর ইউনিয়নে অনত্র বাসা ভাড়া করে জীবন যাপন করছেন । স্বামীর বাড়িতে নিরাপদে থাকার জন্য বাব বার মানুষের ধারে ধারে ঘুড়ে কোন বিচার না পেয়ে অবশেষে মে মাসের প্রথম সপ্তার দিকে শাল্লা থানায় সুনিয়া বেগম বাদী হয়ে দুই বাশুর নবাব মিয়া ও শাহআলম সহ চার জনের নাম উল্লেখ করে  অভিযোগ দায়ের করলেও এখন র্পযন্ত কোন বিচার পাচ্ছেন না অসহায় সুনিয়া বেগম। অবশেষে তিনি দুই সন্তানকে  নিয়ে নরিাপদে স্বামীর বাড়িতে থাকার জন্য সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হলেন। এ ব্যপারে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশারফুল ইসলাম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  ##

আরও দেখুন

নাটোরে ধর্ষণ মামলায় এক কিশোরের ১০ বছরের আটকাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় একটি ধর্ষণ মামলায় সুজন রানা মুকুল নামের একজনকে ১০ বছরের আটকাদেশ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *