মঙ্গলবার , নভেম্বর ৫ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / গুরুদাসপুর / সুদে ব্যবসা করে কোটিপতি গুরুদাসপুরের টিপু সুলতান

সুদে ব্যবসা করে কোটিপতি গুরুদাসপুরের টিপু সুলতান

নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুরঃ
নাটোরের গুরুদাসপুরে সুদের ব্যবসা করে কোটিপতি টিপু সুলতান। বড় অংকের লাভ ও ব্যংক চেকের বিনিময়ে সাধারণ মানুষের কাছে টাকা দেন উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের গুপিনাথপুর গ্রামের মৃত মোতালেব আলীর ছেলে টিপু সুলতান। সুদে ব্যবসা করে এখন সে কোটিপতি। প্রভাবশালি ওই সুদে ব্যবসায়ী সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে তার টাকা উদ্ধার করে।

জানা যায়, টিপু সুলতানের কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা শতকারা ১০% লাভে নিয়েছিলেন নাজিরপুর বটলতলা এলাকার ব্যবসায়ী মাহাবুবুর রহমান। তিনি কান্নাস্বরে জানান, টিপু সুলতানের কাছ থেকে সুদে ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে কাঁচামালের ব্যবসা করতে গিয়ে অনেক লোকসাননে পড়েছেন তিনি। ৪ লক্ষ টাকা সুদে নিয়েছিলেন। প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা তাকে লাভ দিতেন। ৯ মাস আগে ওই টাকা তিনি তার কাছ থেকে নেন। ব্যবসা চলাকালিন সময়ে লাভের ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা তাকে প্রদান করিলেও কয়েক মাস যাবৎ ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় আর দিতে পারছেন না তিনি। টাকা না দেওয়ার কারনে ওই সুদে ব্যবসায়ী তাকে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে এবং তার দেওয়া জামানতের ব্যংক চেক দিয়ে তার নামে ২৪ লক্ষ টাকা মামলা করবেন বলেও হুমকি দিয়ে আসছে।

ক্ষতিগ্রস্থ মাহাবুবুর রহমান আরো জানান, তিনি এখন অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করছেন। এই সময়ে তার কাছে কোন টাকা নেই। নিজের জমি জমা বিক্রি করে ওই সুদে ব্যবসায়ীর আসল টাকা দিতেও হিম সিম খেতে হবে তাকে। সুদের ব্যবসায়ীর ভয়ে এলাকায় থাকতে পারছেন না মাহাবুবুর রহমানসহ আরো অনেকে।

মাহাবুবুরের মত টিপু সুলতানের কাছ থেকে টাকা নেওয়া নাম বলতে অনিচ্ছুক প্রায় ১৫ জন জানান, তাদের কাছেও একই ভাবে টাকা দিয়েছে টিপু সুলতান। লাভের টাকা দিতে দেরি হলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয় ও মামলা করার কথা বলে। তার ওই কর্মকান্ড থেকে রক্ষা পেতে চায় সাধারণ মানুষ।

তারা আরও জানান, নাজিরপুর ও সোনাপুরে টিপু সুলতানের প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বিভিন্ন সাধারণ মানুষের কাছে এভাবে সুদে দেওয়া রয়েছে। তার বিনিময়ে জামানত হিসেবে নিয়েছেন ব্যংক চেক ও ফাঁকা স্ট্রাম্পে স্বাক্ষর।

অভিযুক্ত টিপু সুলতান জানান, আগে অনেক মানুষের কাছে টাকা দেওয়া ছিলো। এখন অনেক কমে গেছে। শতকরা ১০ থেকে ১৫% লাভে বিভিন্ন মানুষের কাছে টাকা দেওয়া আছে। কিন্তু কেউ ঠিক মত লাভের টাকা দেয়না। এখন বেশি টাকা দেওয়া নেই। মোটামুটি ১৫ লক্ষ টাকার মত বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া রয়েছে।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ মোজাহারুল ইসলাম জানান, এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ থানায় করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবশ্যই নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তমাল হোসেন এ বিষয়ে জানান, মাসিক আইন সৃঙ্খলা মিটিংয়ে সুদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওই সকল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও দেখুন

লাইসেন্স বিহীন অটোরিক্সা ও চার্জার রিক্সা বন্ধেরাসিকের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী ,,,,,,,,,,রাজশাহী মহানগরীতে চলাচলকারী লাইসেন্স বিহীন অটোরিক্সা ও চার্জার রিক্সা বন্ধে ভ্রাম্যমান আদালত …