নিউজ ডেস্ক:
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেছেন, এবার কোনো সীমান্ত দিয়ে কোরবানির হাটে বিদেশি কোনো পশু আসতে পারেনি। তাই প্রত্যন্ত এলাকার পশুর হাটেও আমাদের খামারিদের গরু ছাড়া অন্য কোনো গরু দেখা যায়নি। তবে এখন আমরা আরেকটা কাজ করব, তা হলো চামড়া পাচার রোধ করা। চামড়া যাতে পাচার না হয় সে জন্য আমরা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি।
আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন নিয়ে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।
রবিবার ঈদের দিন দুপুরে সুনামগঞ্জ সীমান্তের ডলুড়া এলাকার আট শতাধিক বানভাসির মধ্যে কোরবানির মাংস ও খাদ্যসামগ্রীসহ বানভাসিদের জন্য বিশেষ ত্রাণ বিতরণ করতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির আঞ্চলিক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদুল ইসলাম, সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সেলিম, সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। ঈদের বিশেষ ত্রাণ বিতরণকালে বিভিন্ন ব্যাটালিয়েনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবির মহাপরিচালক আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সুনামগঞ্জের বানভাসিদের উদ্ধার এবং ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর এই অনুশাসনের ভিত্তিতে আমরাও বন্যার প্রথম দিন থেকেই আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছি। এখনো আমরা সুনামগঞ্জের বানভাসিদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভাণ্ডার থেকে যে ত্রাণ পেয়েছি তা-ও প্রশাসনের সমন্বয়ের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করেছি। আমাদের এই সেবা অব্যাহত থাকবে। যত দিন পর্যন্ত বন্যার্ত লোকজন সহায়তা চাইবে, বিজিবি তত দিন সহায়তা দিয়ে যাবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমরা সবাই মিলে বন্যাদুর্গতদের জন্য কাজ করলে বন্যাপীড়িত লোকজনের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করতে পারব।
তিনি বলেন, আমরা ঈদের দিন সুনামগঞ্জের অসহায় বন্যার্তদের জন্য বিশেষ ত্রাণ নিয়ে এসেছি। তাজা মাংস, মসলা, চাল, ডাল, তেল, সেমাইসহ বিভিন্ন পদের বিশেষ ত্রাণ দিয়েছি, যাতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে তারা ঈদ উদযাপন করতে পারেন।
বিজিবির পক্ষ থেকে ৮০০ পরিবারকে তিন প্যাকেট করে ঈদের বিশেষ ত্রাণ দেওয়া হয়। এই ত্রাণের মধ্যে রয়েছে কোরবানির দেড় কেজি মাংস, চাল, ডাল, সেমাই, লাচ্চি, লবণ, চিনিসহ নানা পদের খাদ্যসামগ্রী।