নিউজ ডেস্ক:
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, দেশের সব জনগণের মতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়। গতকাল চট্টগ্রাম সেনানিবাসে রেজিমেন্টাল কালার প্যারেড শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
এর আগে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেন্টারের এম আর চৌধুরী প্যারেড গ্রাউন্ডে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়টি ইউনিট রেজিমেন্টাল কালার পেয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
আইএসপিআর জানায়, অনুষ্ঠানস্থলে সেনাবাহিনী প্রধান পৌঁছলে আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের জিওসি, লে. জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও চট্টগ্রামের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। সেখানে প্যারেড কমান্ডার লে. কর্নেল মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি চৌকসদল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে সালাম জানায়।
গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক ইউনিটগুলোকে সেনাবাহিনী তথা দেশমাতৃকার সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন, ১৮ বীর, ২০ বীর, ২১ বীর, ২২ বীর ও ২৩ বীর গতকালের কালার প্যারেডে অংশ নেয় এবং প্রধান অতিথির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সেনাবাহিনী প্রধান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সামরিক ঐতিহ্য অনুযায়ী যেকোনো ইউনিটের জন্য রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি অত্যন্ত গৌরবের বিষয়।’ তিনি সবাইকে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুশৃঙ্খল, দক্ষ ও যোগ্য সেনা সদস্য হিসেবে গড়ে ওঠার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে তিনি সবাইকে পেশাদারির প্রত্যাশিত মান অর্জনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যেকোনো হুমকি মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পদবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: আমার রাজশাহী