নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রতি বছরের মতো এবারও ৩০ হাজার ৮৫০ শ্রমিক নেবে ইতালি সরকার। কৃষি, হোটেল ও ট্যুরিজমসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবেন এসব শ্রমিক।
দীর্ঘ ৮ বছর পর বাংলাদেশকে কালো তালিকামুক্ত করল ইতালি সরকার। এর ফলে ইতালিতে সিজনাল ভিসায় প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশিরা। ১২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে কৃষি, হোটেল ট্যুরিজম সেক্টরে ৬ মাসের জন্য শ্রমিক আনেন ইতালি সরকার। ৬ মাস কাজ করার পর কাজের চুক্তি শেষে আবার তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরতে হয়। চলতি মাসের ১৩ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
যেসব দেশ থেকে শ্রমিক আসতে পারবে তারমধ্যে আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, দক্ষিণ কোরিয়া, আইভেরি কোস্ট, মিসর, এল সালভাদর, ইথিওপিয়া, ফিলিপাইন, গাম্বিয়া, ঘানা, জাপান, ভারত, কসোভো, মালি, মরক্কো, মরিশাস, মলডোভা, মন্টিনিগ্রো, নাইজার, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, উত্তর ম্যাসেডোনিয়া প্রজাতন্ত্র, সেনেগাল, সার্বিয়া, শ্রীলংকা, সুদান, তিউনিসিয়া ও ইউক্রেন। স্পিড আইডি ও অভিবাসী সার্ভিস কাপ অফিস থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আবেদনকারীরা।
এছাড়া এ বছর আবেদন করার পর অনেক যাচাই-বাছাই করার পর একজন শ্রমিক ইতালিতে বৈধভাবে আসতে পারবে। সেজন্য একজন মালিক সঠিক কর প্রদান করে কিনা তা কঠোরভাবে দেখবে সরকার।
তাই এ যাচাই-বাছাইয়ে অনেক আবেদন বাদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিজ্ঞ অনেক অভিবাসী পরামর্শক মনে করেন। উল্লেখ্য, অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশিরা সরকারের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করার কারণে দীর্ঘ আট বছর বাংলাদেশকে কালো তালিকাভুক্ত করে রাখা হয়। নিয়মানুসারে সিজনাল ভিসায় একজন শ্রমিক ছয় মাস কাজ করার পর তাকে নিজ দেশে অবশ্যই ফেরত যেতে হয়।
এ ব্যাপারে, ইতালিতে জাসদের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিচুজ্জামান আনিচ বলেন, চলতি বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালি সরকারের আমন্ত্রণে সফরে এলে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ব্যাপারে তিনি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ইতালি সরকারের কাছে প্রস্তাব দেন। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর বাংলাদেশি শ্রমিকদের ব্যাপারে সরকার কালো তালিকা তুলে নেয়ায় শ্রমিকরা আসতে পারছেন।