নিজস্ব প্রতিবেদক, সিংড়াঃ
নাটোরের সিংড়া উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। মঙ্গলবার রাত ৯.৩০ মিনিটে আইইডিসিআর কর্তৃক ই-মেইলের মাধ্যমে জেলা সিভিল সার্জন নিশ্চিত হন নাটোর জেলায় করোনা পজেটিভ ৮ জন সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সিংড়া উপজেলায় ৫ জন সনাক্ত হয়। সনাক্তের মধ্য নুর মোহাম্মদ নামে এক ব্যক্তি গত ২০ এপ্রিল মারা যান। তার পর তাঁর নমুনা পাঠানো হয়।
নমুনা পজেটিভের মধ্য একজন ঢাকা ফেরত গার্মেন্টস কর্মী, একজন মেডিকেলের নার্স, একজন মেডিকেলের টেকনোলজি রয়েছে। অপর জন এক থানা মোড়ের কম্পিউটার ব্যবসায়ী রয়েছে। মুলতঃ পৌর এলাকায় বসবাস করেন তিন জন। মৃত পৌর এলাকার ১১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। টেকনোলজি তিনি নাটোর তেবাড়িয়া থেকে যাতায়াত করতেন।
এদিকে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর টেকনোলজি এবং একজন নার্সের রিপোর্ট পজেটিভ আসায় হাসপাতাল লকডাউন করা হয়েছে। সবাই হোমকরেন্টাইনে চলে গেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা সবাই ঝুঁকির মধ্য আছি, কারণ রীতিমত আমরা গতকাল পর্যন্ত সকল কার্যক্রম অব্যহত রেখেছিলাম। তিনি আরো জানান, ৭১ জনের নমুনা আমরা সংগ্রহ করে পাঠিয়েছি। এর মধ্য ৩৯ জন নেগেটিভ এবং ৫ জন পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে।
বাকিগুলো রিপোর্ট আসেনি।
সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, করোনা পজেটিভ ধরা পড়ার পর পৌরবাসিকে সতর্ক করে মাইকিং করা হয়েছে। আমরা সবাইকে ঘরে থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, লকডাউনের পর মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ঔষধ ব্যতিত পৌর এলাকার সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
মানুষ হটলাইনে ফোন করে পণ্য চাহিদার কথা জানাচ্ছেন, কিন্তু দোকান বন্ধ বিধায় আমরা দিতে পারছি না। তিনি আরো বলেন, পৌর এলাকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা, প্রতিমন্ত্রী পলকের ব্যক্তিগত সহায়তা এবং আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে তহবিল গঠন করে ভালো সাড়া পেয়েছি, সব মিলে আমরা ৭৮০০ জনকে মানবিক সহায়তা পৌছে দিয়েছে।
সিংড়া থানার ওসি নূর-এ আলম সিদ্দিকী জানান, আমরা পুলিশ বাহিনী সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষকে ঘরে রাখার জন্য আমাদের তৎপরতা অব্যহত আছে, থাকবে। লকডাউন কার্যক্রম বাস্তবায়নে আমরা সার্বক্ষণিক তৎপর।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন বানু জানান, পুরো উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সনাক্তকারীদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। সবাইকে ঘরে থাকার জন্য বলা হচ্ছে। আইন অমান্য করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।