নিজস্ব প্রতিবেদক, সিংড়া
নাটোরের সিংড়ায় স্ত্রীকে তালাক দেয়ায় সিরাজুল ইসলাম ও রেজাউল করিম নামের দুই ভাইকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
গত রোববার বেলা ১১টার দিকে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের বাইশাপাড়া ব্রীজে তাদের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে মারধর করা হয়। এ সময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও কাছে থাকা নগদ দেড় লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরে আহতদেরকে উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে এলাকাবাসী। ঘটনার দিন আহতদের বড় ভাই জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামী করে সিংড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও আহতরা জানায়, ১ বছর আগে উপজেলা চৌগ্রাম ইউনিয়নের নিমাকদমা গ্রামের শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে সিংড়া পৌর এলাকার শৈলমারী গ্রামের সোনা মিয়ার মেয়ে বিলকিস খাতুনের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। শুক্রবার উভয়ের পরিবারের সম্মতিতে তাদের মধ্যে তালাকের সিদ্ধান্ত দেন গ্রাম্য মাতব্বররা।
পরে রোববার সকালে শৈলমারী গ্রামের স্থানীয় কাজী নুরুল ইসলামের বাড়িতে বসে স্বামী-স্ত্রী উভয় খোলা তালাক দেন। আর স্ত্রীর চাহিদা মতো নগদ ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন সিরাজুল ইসলাম।
বিবাহ বিচ্ছেদের পরে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম ও তার বড় ভাই এনজিও কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে পিটিয়ে আহত করে শ্যালক সেন্টু ও শহিদুল ইসলামসহ ৮ থেকে ১০ জন লোক।
আহত সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রী আমার অবাধ্য ছিলেন, সে তার ইচ্ছেমত চলাফেরা করতেন। এমনকি সে ধর্মীয় কোন বিধানও মানতেন না। এ কারণে উভয় পক্ষের সম্মতিতে পারিবারিকভাবে তালাক দিয়েছি।
সিংড়া পৌরসভার স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নওশের আলী বলেন, উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে তাদের মধ্যে খোলা তালাক ও অর্থনৈতিক মীমাংসা করে দিয়েছেন গ্রাম্য মাতব্বররা।
সিংড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।