নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের সিংড়ায় দেয়ালে দেয়ালে শিল্পকর্ম আঁকছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
‘স্বাধীন বাংলাদেশে আপনাকে স্বাগতম, পানি লাগবে পানি? বিকল্প কে? তুমি
আমি আমরা, নাম আমার জনগণ, আমিই বাংলাদেশ- এমন নানান প্রতিবাদী উক্তি
আর বিভিন্ন চিত্রশৈলীতে বর্ণিল হয়ে উঠেছে সিংড়া পৌর শহরের কোট মাঠ
চত্বর।
সোমবার (১২আগস্ট) সিংড়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কেউ দেয়াল ঘষে
পরিষ্কার করছেন, কেউবা সেখানে রঙের প্রলেপ দিচ্ছেন। কেউবা সেই প্রলেপ দেওয়া
জায়গায় আঁকছেন লাল-সবুজের পতাকা। কেউ আবার ব্যস্ত ¯েøাগান লেখায়, কেউ
বা সড়কে দুর্ভোগ নিরসনে কাজ করছে ট্রাফিকের।
সিংড়া পৌর শহরের সিংড়া কোর্ট মসজিদের জরাজীর্ণ দেয়াল রং-তুলির আঁচড়ে
বর্ণিল হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীদের প্রায় ৩০/৪০জনের দল সেখানে এই
আঁকাআঁকির কাজ করছে। এমন দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতিতে চোখ জুড়ে যায়
সিংড়াবাসীর। এক সময় এসব দেয়ালে বিভিন্ন পণ্যের বাহারি বিজ্ঞাপনের পসরা
ছিল। তার পরিবর্তে আজ সেখানে শিক্ষার্থীদের রং-তুলির আঁচড়ে ফুটে তুলেছে
বিভিন্ন চিত্র আর সমাজ সংস্কারম‚লক উক্তি। এসব গ্রাফিতির অর্থের জোগান
দিচ্ছেন পাওয়ার রেঞ্জার স্পোটিং ক্লাব ( পিআরএসসি)। আর শিক্ষার্থীদের এমন
কাজকর্মের সাধুবাদ জানিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আগামীর সুন্দর
বাংলাদেশের স্বপ্নের সারথি হতে যাচ্ছেন, এমন প্রত্যাশা তাদের।
শিক্ষার্থী শিহাব ও সালমান বলন, দেশটাকে আমরা রঙিন করে সাজাতে চাই। দেশের
বীরত্বগাঁথা দিয়ে ভরে ফেলতে চাই দেয়ালগুলো। শহরের বিভিন্ন জায়গায় আমরা
একসঙ্গে কাজ করছি, শহরের বিভিন্ন জায়গায় দেয়ালে গ্রাফিতির মাধ্যমে
বার্তা পৌঁছে দিতে চাচ্ছি সবার কাছে, দেশটাকে যেন নতুনভাবে পরিচালিত
করতে পারি।
এ বিষয়ে সচেতন নাগরিকরা বলেন, শিক্ষার্থীরা জাতি গঠনের জন্য একটি
গুরুত্বপ‚র্ণ ভ‚মিকা পালন করেছে, যা প্রশংসনীয়। তারা যে ইতিহাস রচনা করেছে,
দেয়াল লিখনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে যে বার্তা পৌঁছে দিতে চাচ্ছে, তা
ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
গ্রাফিতি শিল্পী সাদিয়া ও রাফি বলেন, গ্রাফিতির মাধ্যমে আমরা নতুন
বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করছি। পৃথিবীর সব থেকে বড় শিল্পের প্রতিবাদ হচ্ছে
গ্রাফিতি, এর ভেতর দিয়ে একজন শিল্পী তার প্রতিবাদের ভাষা ফুটিয়ে তুলতে পারে,
যার যার নিজনিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসার জানান তারা।