নিজস্ব প্রতিবেদক, সিংড়া:
নাটোরের সিংড়ার ১নং সুকাশ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আলম হোসেনের বিরুদ্ধে আগমুরশুন বড় পুকুরিয়া গ্রামের সরকারী পুকুর ইজারা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার আগমুরশুন গ্রামের রাস্তায় এই মানববন্ধনে অংশ নেন আগমুরশুন গ্রাম সহ এলাকার শতাধিক মানুষ। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ওই গ্রামের ইনছাফ আলী, গোলাপ হোসেন, মোজাম্মেল হক, মায়া হোসেন সহ অন্যরা।
বক্তারা বলেন আগমুরশুন মৌজার ৩৫২ দাগের ৫ একর পরিমানের বড়পুকুরিয়া নামের পুকুরটি ১৯৯৮ সাল থেকে বহিরাগত জনৈক প্রভাবশালী ব্যক্তি আদালতে মামলা করে জবর দখল করে মাছ চাষ করে আসছিল। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করা পর যুবলীগ নেতা আলম পুকুর পাড়ের লোকজনকে নিয়ে আদালতে তদবীর করে ২০১০ সালে পুকুরটি জবর দখল মুক্ত করে স্থানীয় সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলকের সহযোগিতায় ২০১১ সালে সরকারী পুকুর ইজারার নীতিমালার আলোকে ওই পাড়ের সাধারণ মানুষদের নিয়ে গঠিত আগমুরশুন বড় পুকুরিয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির অনুকুলে উপজেলা জলমহাল কমিটির কাছ থেকে ইজারা নেওয়া হয়।
ফলে র্দীঘ দিন পর এই পুকর থেকে সরকার রাজস্ব পেয়ে আসছে। এর পর থেকে প্রতি ৩ বছর পর পর সরকারী নীতিমালায় পুকুর ইজারা নিয়ে পাড়ের লোকজনের সাথে সমন্বয় করেন সমিতির সভাপতি যুবলীগ নেতা আলম। বক্তারা বলেন একটি মহল কিছুদিন ধরে আলমের রাজনৈতিক প্রতি হিংসায় তার মান ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে নানা অনিয়ম ও মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন যুবলীগ সভাপতি আগামী ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষনা দেওয়ায় প্রতিপক্ষ তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। আমরা এই মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বড়পুকড়িয়া পাড়ে বসবাসরত মর্শিদা, জহুরা খাতুন বলেন এর পুর্বে যারা চাষ করতো তারা পুকুরে কোন কাজ করতে দিতনা। বর্তমান আমরা পুকুরে সব ধরনের কাজ করি এছাড়া সমিতির সভাপতি আলম ও সাধারণ সম্পাদক জার্জিস প্রতি বছর আমাদেরকে ১ লাখ টাকা দেন আমরা পাড়ের মানুষ ভাগ করে নেই।
ওই গ্রামের রুবেল হোসেন বলেন,আলম ও জার্জিসের সমিতির নামে পুকর ইজারা হলেও আলম ও জার্জিস সবার মতামত নিয়ে প্রতিবারের ন্যয় এবার কলমের নুর নবীকে পুকুরটি সাব লিজ দেওয়া হয়েছে এবং সেই অর্থ সবার সাথে সমন্বয় করা হয়েছে।