নিজস্ব প্রতিবেদক, সিংড়া
নাটোর সিংড়ার চৌগ্রামের ছোট চৌগ্রাম গ্রামের এই আঞ্চলিক পাড়ার সড়কে হয়নি কোন উন্নয়ন। একটু বৃষ্টি হলে চলচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে যায় গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি। বছরের পর বছর আশায় আশায় থেকেও কোন লাভ হয়নি এই এলাকার জনগোষ্ঠীর।
জানা যায়, এই গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি মসজিদ ও একটি মাদ্রাসা আছে। এই আঞ্চলিক পথ দিয়ে প্রায় প্রতিদিন ৩ থেকে চার হাজার মানুষ চলাচল করে। স্কুলের ছাত্র ছাত্রী, তরুণ-তরুণী সহ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা মানুষ চলাচল করে।
এলাকাবাসী জানান, আমার এই গ্রামের এই রাস্তায় ২০০৮ সালে স্থানীয় সাবেক মহিলা মেম্বার খালেদা বেগম ইউনিয়ন পরিষদের প্রকল্পে ইট পেড়ে মানুষের চলাচলের উপযোগী করে দেয়। তারা আরো বলেন, আগে এই রাস্তা দিয়ে এই পাড়ার লুৎফর এর ট্রাক যেত তার বাড়ির সামনে, কিন্তু এই রাস্তার দুই পাশে পুকুর থাকার কারণে এই রাস্তা আস্তে আস্তে কমে যেতে থাকে। যদি সরকারি আমিন দিয়ে যদি এই রাস্তাটি মাপা হয় তাহলে পুকুরের ভিতরে থাকা রাস্তা বের হয়ে আসবে। তাতে আমাদের উপকার হবে।
স্থানীয় আইয়ুব হোসেন বলেন, ২০০৮ সালের পর থেকে আর কোন উন্নয়ন হয়নি ছোট চৌগ্রাম গ্রামের এই রাস্তার যদি এই রাস্তাটি পাকাকরণ করা হয় তাহলে আমাদের সকলের দূর্ভোগ কমবে।
পথচারী এক বৃদ্ধা বলেন, আর কত কষ্ট করবো আমরা?
স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ইসমাইল বলে, আমাদের এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যেতে হয় মাঝে মাঝে পড়ে গিয়ে শরীরে ব্যথাও পাই।
কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী বৃষ্টি বলে, আর কত দূর্ভোগ পোহাতে হবে আমাদের। সামান্য এই রাস্তার ব্যবস্থা নেয়না কেন জনপ্রতিনিধিরা?
চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা এ বিষয়ে জানান, যত দ্রুত সম্ভব এই রাস্তা সংস্কার করা হবে। স্থানীয় জনগণের দাবি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি এবং চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলার কাছে, তারা যেন এই রাস্তার প্রতি সুদৃষ্টি দেন।
আরও দেখুন
পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!
নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …