নারদ বার্তা পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিংড়া:
নাটোরের সিংড়া উপজেলার ২নং ডাহিয়া ইউনিয়নের বিয়াশ গ্রামে এই প্রথম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ নির্মাণের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিয়াশ দিঘী পাড়া হাসপাতালের পুর্বে দিঘী পাড়া ফুলবাগান জামে মসজিদ সংলগ্ন প্রায় ৫০ শতাংশ জায়গায় এই বিয়াশ কেন্দ্রীয় ফুলবাগান নামে নতুন ঈদগাহ মাঠ নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন ঈদগাহ মাঠের জমিদাতা নাটোর জজ কোর্টের সাবেক জিপি ও সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফজলার রহমান।
উদ্বোধনের আগে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও নবর্নিমিত মাঠ কমিটির সভাপতি তারেক হোসেন দুলালের সভাপতিত্বে এবং কমিটির সাধারন সম্পাদক সহকারী শিক্ষক শাহিন আলমের পরিচালনায় নবনির্মিত ঈদগাহ মাঠের উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ২ নং ডাহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এম আবুল কালাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, ২ নং ডাহিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল মজিদ মামুন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাবিব দুলালসহ অন্যরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ২নং ডাহিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জুলহাজ কায়েম, ৪ নং ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফ মাহমুদ, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য দুলাল আজিজসহ বিয়াশ গ্রামের গণ্যমাণ্য ব্যক্তি।
অনুষ্ঠানের সভাপতি তারেক হোসেন দুলাল তাঁর স্বাগতিক বক্তব্যে বলেন, ডাহিয়া ইউনিয়নের সদর দপ্তর গ্রাম হলো বিয়াশ। এখানেই ইউনিয়ন পরিষদ ভবন কমপ্লেক্স স্থাাপিত। বৃহত্তম এই গ্রামে একটি উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কওমী মাদ্রাসা, কেন্দ্রীয় কবরস্থানসহ প্রায় প্রতিটি পাড়াতেই মসজিদ থাকলেও গ্রামে কেন্দ্রীয় কোন ঈদগাহ মাঠ নেই। ঈদগাহ মাঠ না থাকায় গ্রামের মানুষ স্থানীয় মসজিদ কিংবা পাশের গ্রামের ঈদগাহ মাঠে গিয়ে ঈদের নামায আদায় করেন। শুধু মাত্র জায়গার অভাবে আমাদের ঈদগাহ মাঠ নির্মাণ থেকে এতদিন আমরা পিছিয়ে ছিলাম। আমাদের বিয়াশ গ্রামের কৃতি সন্তান শ্রদ্ধাভাজন আইনজীবী ঈদগাহ মাঠের জন্য জায়গা দান করে গ্রামবাসীদের ঈদগাহ মাঠ নির্মাণ করার সেই সুযোগ করে দেওয়ায় আমরা তাঁর কাছে চির কৃতজ্ঞ।
জমিদাতা এডভোকেট ফজলার রহমান বলেন, গ্রামে ঈদগাহ মাঠের সেই শুন্যতা পুরণের লক্ষ্যেই আমি এই জমি দান করেছি। এই জমি মূলতঃ তৎকালীন হিন্দু জমিদারদের বাগান বাড়ি ছিল। সেই ইতিহাস ধরে রাখার জন্যই আমি সকলের সাথে পরার্মশ করে এই ঈদগাহ মাঠের নামকরন করেছি বিয়াশ কেন্দ্রীয় ফুলবাগান ঈদগাহ মাঠ। সকলের সহযোগিতায় এই মাঠের সার্বিক উন্নয়ন প্রত্যাশা করছি। সেই সাথে আমি আশা করছি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন এই মাঠের উন্নয়নের জন্য সহযোগিতা করে যাবো।
