নিজস্ব প্রতিবেদক, সিংড়া:
নাটোরের সিংড়া গোল-ই আফরোজ সরকারি অনার্স কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২০ জুলাই) বেলা ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর কলেজ ছাত্রাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, কলেজ ছাত্রাবাসে প্রায় ৬০ জন ছাত্র থাকে। তাঁদের অধিকাংশ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সদ্য সাবেক ভিপি সজিব ইসলাম জুয়েলের অনুসারী। তাদেরকে নতুন করে ছাত্রাবাসে ভর্তি হতে হবে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান। বুধবার সকালে কলেজ ছাত্রসংসদের নব-নির্বাচিত ভিপি মাসুম আলী’র অনুসারীরা যাদের ভর্তির কাগজ নেই তাদেরকে ছাত্রাবাস থেকে বের হয়ে যেতে বলে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব ইসলাম জুয়েলের অভিযোগ বেলা ৩টার দিকে ছাত্রাবাসে প্রবেশ করে ছাত্রাবাসে থাকা আমার অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাদের বিছানাপত্র, বই-খাতা, আসবাবপত্র বাহিরে বের করে ফেলে দেয় ভিপি মাসুমের অনুসারীরা। এসময় প্রতিবাদ করলে আমার গ্রুপের উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আঃ হাকিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুরশিদুল ইসলাম, রনিসহ কয়েকজনের উপর হামলা করা হয়। এসময় তাঁদের টাকা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও সার্টিফিকেট হারিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন ছাত্রলীগ নেতা আঃ হাকিম। দুই গ্রুপের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব ইসলাম জুয়েল বলেন, ছাত্রাবাসের সবাই আমার অনুসারী এজন্য তাদের বের করে দেয়া হচ্ছে। কারো কোনো টাকা বাকি নেই, সবাই ভর্তি হওয়া ছাত্র।
গোল-ই আফরোজ সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদের ভিপি মাসুম আলী বলেন, অনেকে ভর্তি না হয়ে অবৈধভাবে ছাত্রাবাসে থাকে। তাদেরকে বের করার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা নিজেদের বিছানা ও আসবাবপত্র নিজেরাই এলোমেলো করেছে, আমরা স্যারের সাথে মিটিংয়ে ছিলাম।
সিংড়া থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহিম বলেন, আমরা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।
গোল-ই আফরোজ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. জহির উদ্দিন বলেন, ছাত্রাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সকল ছাত্রদের সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ছাত্রাবাস ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।