রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪
নীড় পাতা / শিরোনাম / সিংড়ায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরাতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ইউএনও’র

সিংড়ায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরাতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ইউএনও’র

 নিজস্ব প্রতিবেদক:

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরাতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা।

শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরাতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল ও কলেজে পৌরসভা, তাজপুর ও শেরকোল ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এরপর ৫ দিনব্যাপী ৬টি স্থানে পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে শিক্ষক ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরত নেয়া, শিক্ষার সার্বিক মান উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের শিষ্টাচার চর্চায় শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

এ আয়োজনটি ছিলো একেবারে ব্যতিক্রমী। সকল ইউনিয়নের শিক্ষক ও অভিভাবকদের সংযুক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গিয়েছেন ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে। এ সভায় আলোচনার পাশাপাশি উপস্থিত ব্যক্তিগণকে একটি করে কাগজ দেয়া হয় সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, বা শিক্ষক সংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্ন, অভিযোগ, সমস্যা, বা পরামর্শ লিখে জানানোর জন্য। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁর বক্তব্য শেষে সেগুলো পাঠ করে শোনান এবং সে সংক্রান্ত পরামর্শ দেন। অভিযোগসমূহের বিষয়ে কী প্রতিকার নেয়া যেতে পারে, কোন সমস্যার প্রতিকার কোন পর্যায়ে কার কাছে পাওয়া যেতে পারে, কার দায়িত্ব কী এবং শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত বলেন। সর্বোপরি তিনি সকলকে সহিষ্ণু হতে, নিজ কর্তব্যের প্রতি আন্তরিক হতে ও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ করার আহ্বান জানান।

এভাবেই অনুপস্থিত ও ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন ইউএনও। তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আলী আশরাফ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান।

দমদমা পাইলট স্কুল ও কলেজের অভিভাবক খুর্শিদা বেগম বলেন, বর্তমানে অনেক ছেলেমেয়ে স্কুলে যেতে চায়না আবার পড়াশোনার প্রতি অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে। এমতাবস্থায় ইউএনও মহোদয়ের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগে আমরা আশার আলো দেখছি। শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী ও শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।

উপজেলার বিষ্ণুপুর-ইটালী মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে যে সমাবেশ করেছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ। ইউএনও’র এমন পরিকল্পনায় শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

পৌর এলাকার শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোতাররফ হোসেন বলেন, ইউএনও মহোদয়ের এ পদক্ষেপে আমরা আশাবাদী যে ক্লাসে শিক্ষার্থী ফিরবে এবং শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে। শিক্ষক ও অভিভাবকগণ ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশনা মেনে চললে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনা ও শিষ্টাচার চর্চা করা সম্ভব হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হা-মীম তাবাসসুম প্রভা জানান, অনুপস্থিত ও ঝরে পড়া শিক্ষার্থী কমানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও ঝরে যাওয়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতনতা ও প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

আরও দেখুন

নন্দীগ্রামে অবৈধভাবে পুকুর খনন করার অপরাধে একজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা 

নিজস্ব প্রতিবেদক নন্দীগ্রাম,,,,,,,,,,,,, বগুড়ার নন্দীগ্রামে অবৈধভাবে পুকুর খনন করার অপরাধে একজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা …