রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪
নীড় পাতা / জনদুর্ভোগ / সিংড়ায় লকডাউনেও কিস্তি আদায়ের জন্য সাধারণ মানুষকে চাপ সৃষ্টি করছে এনজিও কর্মীরা

সিংড়ায় লকডাউনেও কিস্তি আদায়ের জন্য সাধারণ মানুষকে চাপ সৃষ্টি করছে এনজিও কর্মীরা


আবু সাঈদ খান, সিংড়া:
নাটোরের সিংড়ায় বিভিন্ন এনজিওকর্মীরা লকডাউনের মধ্যে কিস্তি আদায়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ঋণগ্রহীতারা। ঋণের কিস্তি দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। ছোটখাটো বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা ঋণ নিয়ে তাদের ব্যবসার কার্যক্রম চালান। এ ছাড়াও অনেকে এনজিও থেকে সাপ্তাহিক কিস্তিতে ঋণ নিয়ে ইজিবাইক, থ্রিহুইলার, ভ্যান সহ বিভিন্ন যানবাহন কিনে চালিয়ে তা থেকে আয় করে জীবিকা নির্বাহ করেন ও ঋণের কিস্তি দেন।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে মৃত্যু ও আক্রান্তের হার বাড়তে থাকায় নাটোর ও সিংড়ায় পৌর এলাকা লকডাউন ঘোষণা করেন প্রশাসন। ফলে নাটোর সিংড়ায় সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যায় অনেক মানুষের। এমন পরিস্থিতিতে এনজিওর ঋণের কিস্তি দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন আয়ের ঋণগ্রহীতারা। অধিকাংশ এনজিও বিবাহিত নারীদের সমিতির মাধ্যমে ঋণ দিয়ে থাকে। এমন সময়ে এ সকল ভুক্তভোগী খেটেখাওয়া ঋণগ্রহীতা যখন তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন, এর মধ্যে বিভিন্ন এনজিওকর্মীরা বাড়ি বাড়ি কিস্তি আদায়ের জন্য ধরনা দিচ্ছেন, চাপ সৃষ্টি করে কিস্তি আদায় করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের সরকারি নির্দেশনা থাকলেও এনজিওকর্মীরা ঋণগ্রহীতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তির টাকা আদায় করছেন। কোনো কোনো এনজিওরকর্মী এক বাড়িতে টেবিল চেয়ার নিয়ে বসে পাড়ার সব নারী ঋণগ্রহীতাদের নিকট থেকে কিস্তি আদায় করছেন। এ সময় নারী গ্রহীতাদের মাঝে মাস্ক ব্যবহার বা সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো বালাই থাকছে না।

মহিষমারী গ্রামের সিএনজিকচালক ফারুক হোসেন বলেন, সে সম্প্রতি সিএনজি কিনেছে এ সময় তিনি গ্রামিন এনজিও থেকে তার স্ত্রীর নামে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিল এতে সপ্তাহে তার ১৮ শ টাকা কিস্তি দিতে হয়। গাড়ি চালিয়ে যে আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালাই আর প্রতিদিন কিছু কিছু জমিয়ে সপ্তাহিক কিস্তি দেই। লকডাউনে এক সপ্তাহ বাড়ি বসে আছি, কোনো আয়-রোজগার নেই। ধারদেনা করে সংসার চলছে, কিস্তি কিভাবে দেব ভেবে পাচ্ছি না। লকডাউনের সময় কিস্তি বন্ধ না করলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।

প্রেম ব্রিজের ফিজুর রহমান জানান, আমি ব্রাক থেকে ১লক্ষ টাকা ঋন নিয়েছিলাম এতে মাসে ৬ হাজর টাকা কৃস্তি দিতে হয়। ঋনের টাকা দিয়ে সিএনজি কিনেছি সিএনজি চালিয়ে যা আয় করি তাই দিয়ে সংসার চালাই এবং কিছু টাকা জমিয়ে কিস্তি দেই কিন্তু গত ৭-৮ দিন হলো নাটোরে লকডাউন দেয়ায় আমার সিএনজি বন্ধো হয়ে পরে আছে কিন্তু এনজিও কর্মিরা কিন্তি নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে এই লকডাউনে নিজেই খেতে পারছি না কিস্তি দিব কি করে।

সোনার মোড়ের প্রতিবন্ধী মকলেছ বলেন, আমি প্রতিবন্ধী হওয়ায় কোন কাজ করতে পারিনা তাই এনডিপি এনজিও থেকে ২ বছর মেয়াদী ১লক্ষ টাকা ঋন নিয়ে ইজিবাইক কিনেছিলাম ইজিবাইক চালিয়ে প্রতি মাসে ৬হাজার টাকা কিস্তি দিচ্ছিলাম কোন মতে। কিন্তু এই লকডাউনে গাড়ি বন্ধ হওয়ায় আমি কিস্তি দিতে না পাড়ায় এনজিও কর্মিরা মামলার হুমকি দিয়ে আসছে।

আরও দেখুন

বাড়ির উঠানে ৪ কেজি ওজনের গাঁজারগাছ-গ্রেপ্তার ১

নিজস্ব প্রতিবেদক সিংড়া,,,,,,,,,,,,নাটোরের সিংড়া পৌরসভার বালুয়াবাসুয়া মোল্লা পাড়া এলাকায় ১০ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছ উদ্ধার …