শনিবার , নভেম্বর ১৬ ২০২৪
নীড় পাতা / আইন-আদালত / সিংড়ায় ভুয়া চিকিৎসকের এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত

সিংড়ায় ভুয়া চিকিৎসকের এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের সিংড়ায় আব্দুস সালাম সরকার (৩৯) নামের এক ভুয়া পাইলস চিকিৎসককে এক লক্ষ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। একই সঙ্গে তার চিকিৎসায় ব্যবহ্নত অপারেশনের যাবতীয় মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
রোববার বিকেল ৫টায় সিংড়ার পৌর শহরের বালুয়া বাসুয়া এলাকার পলিপস এন্ড পাইলস সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সিংড়ার সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান এই দন্ডাদেশ দেন। দন্ডাপ্রাপ্ত আব্দুস সালাম সরকার গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে সে নাটোরের সিংড়া পৌর শহরের বালুয়া বাসুয়া মহল্লার বাসিন্দা।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, আব্দুস সালাম সরকার প্রায় দেড় যুগ আগে সিংড়া পৌর শহরের প্রেট্রোলবাংলা এলাকায় একটি কুড়ে ঘরে গোপনে পলিপস এন্ড পাইলস চিকিৎসা শুরু করেন। পরে ২০১৩ সালে চলনবিলের তাড়াশ-বরুহাস রাস্তার বালুয়া বাসুয়া এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে রাতারাতি অভিজ্ঞ ডাক্তার বনে যান এবং ভুয়া চিকিৎসা দিয়ে মাত্র দশ বছরেই পাশেই ৩০ লক্ষাধিক টাকার জায়গা কিনে রাতারাতি ৩ তলা বিশিষ্ট বাড়ি ও মোটর সাইকেলসহ প্রচুর অর্থের মালিক হয়ে উঠেন। মানুষকে প্রতারণা ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা। আর তার অপচিকিৎসায় বেশ কয়েকজন মৃত্যুবরণ ও শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে বিছানা কাতর হয়ে ভুগছেন।

এলাকারবাসীর এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সিংড়ার বালুয়া বাসুয়া এলাকার পলিপস এন্ড পাইলস সেন্টারে অভিযান চালিয়ে আব্দুস সালাম নামের ওই ভুয়া চিকিৎসককে এক লক্ষ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আমিনুল ইসলাম সহ গণমাধ্যম কর্মীরা।
সিংড়ার সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল ২০১০ অনুযায়ী কোন কাগজপত্র না থাকায় এবং কোন ডিগ্রি ছাড়াই সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে পাইলস অপারেশ করায় এই দন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
উলে­খ্য এর আগেও ২০১৯ সালে আব্দুস সালাম সরকারকে ভুয়া চিকিৎসার জন্য এক বছরের কারাদন্ড দেন জেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মো: মর্তুজা খাঁন। এরপর জামিনে বেড়িয়ে এসে সে আবারও পাইলস অপারেশন শুরু করেন এবং মাঝে মধ্যেই অপচিকিৎসার জন্য পলাতক থাকেন।

আরও দেখুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ ………..চাঁপাইনবাবগঞ্জে রক্তদান সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার …