নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রতীক বরাদ্দের পর সিংড়া উপজেলার ১০নং চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলতাফ হোসেন জিন্নার পক্ষে প্রচারণা চালাতে গিয়ে প্রার্থীর ভাতিজা মাকসুদুর রহমান মামুনকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম ভোলার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে ছোট চৌগ্রাম বাজারে এই মারপিটের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ও ভুক্তভূগি মামুন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে রিটার্নিং অফিসার প্রতীক বরাদ্দ করেন। এতে ১০নং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আলতাফ হোসেন জিন্না আনারস প্রতিক পান। প্রতীক পাওয়ার পর তার পক্ষে ছোট চৌগ্রাম বাজারে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে যান প্রার্থীর ভাতিজা মাকসুদুর রহমান মামুন। এসময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে নৌকার প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম ভোলার ভাগিনা কান্তনগর গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে জয়, একই গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে শিমুল, কয়রাবাড়ি গ্রামের মৃত সানাই এর ছেলে মিঠুন, কান্তনগর গ্রামের বাজেদ আলীর ছেলে মাসুদ, চৌগ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে আসিফ নেওয়াজ আগুন, আবু জাহেদের ছেলে জিয়া এবং আবু বক্করের ছেলে সাগর বিদ্রোহী প্রার্থী আলতাফ হোসেনের ভাতিজা মামুনকে মারপিট করে। পরবর্তীতে নির্বাচনী প্রচারনায় বের হলে তাকে প্রাণ নাশের হুমকিও দেয়া হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আলতাফ হোসেন জিন্না জানান, নির্বাচনী পরিবেশ অস্থিতিশীল করার জন্য নৌকার প্রার্থী বিভিন্ন বাহিনী তৈরী করে আমার কর্মী সমর্থকদের হুমকি এবং মারপিট করছে। একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে নৌকার প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম ভোলা। বিষয়টি আমি ইউএনও, রির্টানিং অফিসার এবং ওসি মহোদয়কে জানিয়েছি। বুধবার লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।
এবিষয়ে জানতে নৌকা মনোননিত প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম ভোলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভোটের মাঠে এমন অভিযোগ স্বাভাবিক। তবে এসব করে ভোটে জয়ী হওয়া যায় না। আমার কোনো কর্মী এমন নোংরামির সাথে জড়িত হতে পারে না।
এবিষয়ে চৌগ্রাম ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত রিটার্নি অফিসার আতিকুল ইসলাম এবং সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।