নিজস্ব প্রতিবেদক, সিংড়াঃ
নাটোরের সিংড়ায় ঈদের খুশি ভাগাভাগি করতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন সাংবাদিক রবিন খান ঈদের খুশি সবার মাঝে বিলিয়ে দিতে ঈদ সামগ্রী খাদ্য বিতরণ করলেন সিংড়া মডেল প্রেসক্লাব এর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক রবিন খান।
আর এক/দুই দিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। বেতন বোনাস পেয়ে প্রায় সবাই ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্ত। রাস্তা, যানবাহন, মার্কেটিং সব জায়গাতে মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। সবার হাতে একগাদা ঈদের শপিং ব্যাগ। এত আনন্দ চারদিকে তবুও যেন মানুষের এই আনন্দগুলো দ্যুতি ছড়ায় না। কারণ, চারদিকে একটু ভালো করে তাকালেই দরিদ্র মানুষের চিহ্ন দেখা যায়। কেউ ভিক্ষা করছে, কেউ শ্রমিক হয়ে হোটেলে কাজ করছে, কেউ ফুটপাতে একটু বসার জায়গা খুঁজছে কোনো কিছু বিক্রি করে দুটা পয়সা রোজগার করে একমুঠো ভাত খাবে। ছোট ছোট শিশুদের গাড়িতে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে দেখা যায়। কেউ ময়লার ডাস্টবিনে খুঁজছে পয়সা রোজগারের কোনো সামগ্রী। পড়াশোনা বা ঈদ তাদের চিন্তায় নেই। তাদের হৃদয় জুড়ে একমুঠো ভাতের চিন্তা। এগুলো আমাদের চারদিকের প্রতিদিনের দৃশ্য। ধনী-গরিবের এই বৈষম্য কীভাবে কমানো সম্ভব? তা জানা নেই। কিন্তু চেষ্টা তো করা যায়?
এই চেষ্টার চিন্তা থেকেই শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় নাটোরের সিংড়ায় সাংবাদিক রবিন খান এর বড় ভাই খান সাহেবের সহযোগিতায় প্রায় ১০০টি পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ঈদ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চিনি, দুধ, লাচ্চা মসলা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন কুমার, সিংড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য আসিফ নেওয়াজ আগুন,চৌগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ সভাপতি অভি দেব, মাসুদ রহমান প্রমূখ।
আসিফ নেওয়াজ,ও অভি দেব বলেন,অসহায় ছিন্নমূল বেদে পরিবারসহ দরিদ্ররা কিছুটা হলেও স্বাচ্ছন্দে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পারে, এজন্য সাংবাদিক রবিন খান মানবিক জাগ্রতবোধ থেকেই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এদিকে খাদ্যসামগ্রী পেয়ে হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা মহাখুশি।
জাহিদ হাসান বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।’ তিনি বলেন, ঈদে বাচ্চা সহ পরিবারকে নিয়ে লাচ্চা সেমাই রান্না করে খাব এবারের ঈদ আনন্দে কাটবে। তারা সাংবাদিক রবিন খানের প্রতি কৃতজ্ঞ জানিয়ে বলেন, এবার পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালভাবে ঈদ করতে পারব।
রবিন খান বলেন, মূল উদ্দেশ্যই হল সুবিধাবঞ্চিতদের ঈদের খুশি সবার মাঝে বিলিয়ে দিতে দুঃস্থদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ। যারা খুব অর্থকষ্টে থাকেন, তাদের মুখে সামান্য হলেও যেন হাসি ফুটে, এ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এ আয়োজন।