রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪
নীড় পাতা / জনদুর্ভোগ / সিংড়ায় দুটি বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, কয়েকটি বাড়ি বিলীন

সিংড়ায় দুটি বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, কয়েকটি বাড়ি বিলীন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিংড়া:
নাটোরের সিংড়ায় আত্রাই নদীর পানি অব্যাহত বৃদ্ধিতে সিংড়া পৌর এলাকার ১২টি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার আত্রাই নদীর পানি সিংড়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১১১ সে:মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার রাত ২ টায় পানির তীব্র স্রোতে পৌর এলাকার শোলাকুড়া মহল্লায় সিংড়া-বলিয়াবাড়ি রাস্তার বাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে শোলাকুড়া, সোহাগবাড়ী, কতুয়াবাড়ী, মহেশচন্দ্রপুরসহ কয়েকটি এলাকার হাজার হাজার মানুষ।

বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার দিকে নাগর নদীর হিয়াতপুর নামক স্থানে সিংড়া-তাজপুর সড়ক বাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে ঐ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এদিকে বন্যায় উপজেলার ২ হাজার ৭৭৬ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।  

১৩’শ টি পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। পানিবন্দি হয়েছে অন্তত এক লাখ মানুষ। ফলে নিরুপায় হয়ে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে ছুটছেন বন্যাকবলিত এলাকার দুর্গত মানুষরা। ইতোমধ্যে ২৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাজ্জাদ হোসেন জানান, নতুন করে বন্যার কারণে এই উপজেলায় ২ হাজার  ৭৫০ হেক্টর জমির রোপা আমন পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রায় ২ হেক্টর মাসকালাইসহ অসংখ্য সবজি ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আরো ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি ।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ওয়ালিউল্লাহ মোল্লা জানান, দ্বিতীয় দফার এই বন্যায় এ উপজেলায় অন্তত ১ হাজার ৩০০ টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি। বন্যার পানি যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে আরও ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে মৎস্য বিভাগ তৎপর রয়েছেন।

সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, শোলাকুড়া মহল্লা সংলগ্ন বাঁধ ভেঙ্গে তিনটি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। আরো বাড়ি হুমকির মুখে। আমরা মাননীয় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির নির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছি। 

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাসরিন বানু  জানান, বন্যা পরিস্থিতি সার্বিক খোঁজ-খবর নিতে  উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে। পানিবন্দি মানুষগুলো যাতে কষ্ট না পায় সেজন্য ২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ৮৮০ টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। 

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে বলেন,  আশ্রয় কেন্দ্রে ও বন্যা কবলিত এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা এবং পর্যাপ্ত ত্রাণ বিতরণ করা হবে।

নাটোরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ শাহরিয়াজ  বলেন,  বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন সদা প্রস্তুত রয়েছেন। সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে।

আরও দেখুন

লালপুরে কুরেছান বেগমের ইন্তেকাল 

নিজস্ব প্রতিবেদক লালপুর,,,,,,,,,,,,,,দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার নাটোরের লালপুর প্রতিনিধি ও মডেল প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সাহীন …