নিজস্ব প্রতিবেদক, সিংড়া:
নাটোরের সিংড়ায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচারণা করায় প্রতিপক্ষের কর্মীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন। ভুক্তভোগী ঐ কর্মীর নাম আহাদ আলী সিদ্দিক। সে তেমুখ নওগাঁ গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র এবং তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফের কর্মী। এ ঘটনায় তিনি থানায় জিডি করেছেন। সিংড়া থানার জিডি নম্বর ৪৯, তাং-০১.১১.২১ইং।
জিডি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাজপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ। তাঁর পক্ষে প্রচারণা করেন আওয়ামী লীগ কর্মী আহাদ আলী সিদ্দিক। গত রবিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিনের ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে আওয়ামী লীগ কর্মীকে ফোন দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন চেয়ারম্যান। এ সংক্রান্ত কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে এসে পৌঁছেছে। কল রেকর্ডে শোনা যায় তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন আওয়ামী লীগ কর্মী আহাদ আলী সিদ্দিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। ৫ মিনিট ৫ সেকেন্ডের কল রেকর্ডের এক পর্যায়ে ঐ কর্মীকে মেরে মাছ দিয়ে খাইয়ে দেয়ার হুমকিও দেন মিনহাজ চেয়ারম্যান।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মুকুল হায়দার বাবু’র মোটরসাইকেলবহরে হামলার অভিযোগ উঠেছিল মিনহাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এতে মুকুল হায়দার বাবুসহ তাঁর পাঁচ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছিল। আহত মুকুল হায়দার তাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি। আহত মুকুল হায়দারকে প্রথমে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হয়। এ কল রেকর্ডে মুকুল হায়দারকে মারপিটের কথা অকপটে স্বীকার করেন মিনহাজ উদ্দিন। আওয়ামী লীগ কর্মী আহাদ আলী সিদ্দিককে মিনহাজ উদ্দিন বলেন রক্তের ভাই বাবু মাষ্টারকেও ছাড় দেইনি। মেরে দহতে ফেলে মাছ দিয়ে খাইয়ে দেবো। ভালো হয়ে যা।
ভুক্তভোগী আহাদ আলী সিদ্দিক বলেন, মিনহাজ চেয়ারম্যান আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। বর্তমানে আমি পরিবারসহ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার নিরাপত্তাসহ সুবিচার চাই।
তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন বলেন, মুঠোফোনে হুমকি বা থানায় জিডির বিষয়ে আমার কিছুই জানা নাই।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, মুঠোফোনে হুমকির ঘটনায় জিডি গ্রহণ করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতের অনুমতি পেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।