নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে এই বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে বিএনপির দুই মেয়াদের শাসনামলের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘এরপরও কারা, কেন, কোন সুখে বিএনপিকে ভোট দেবে? কী কারণে অন্যদের ভোট দেবে?’ নির্বাচনে জেতার আত্মবিশ্বাসও বিএনপির মধ্যে নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সোমবার বিকাল ৪টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ও দলের নেতারা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি তার অর্জিত ‘এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’ দেশের জনগণকে উৎসর্গ করার কথা জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বিএনপির কর্মকান্ড, করোনার টিকা তৈরি, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, কৃষিপণ্য রপ্তানি, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর, গাজীপুরের মেয়রের বিতর্কিত মন্তব্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। বরাবরের মতোই ‘কোমলে কঠোরে’ প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য তুলে ধরেন।
বিএনপি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিশ্বাসই ‘হারিয়ে ফেলেছে’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ ভোট দিতে পারছে না বলে যারা অভিযোগ করছেন, তাদের কে ভোট দেবে? তিনি বলেন, তারা জানে যে, তাদের কোনো সম্ভাবনা নেই। সম্ভাবনা যখন নেই, যেভাবে হোক নির্বাচনটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা, অর্থাৎ গণতন্ত্রের যে ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে, সেটা নষ্ট করার চেষ্টা করছে তারা।
সরকার প্রধান বলেন, ‘একটা দল কীভাবে জিতবে, তার নেতৃত্বটা কোথায়? একজন এতিমের টাকা চুরি করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আরেকজন গ্রেনেড হামলার মামলায় কারাদন্ড নিয়ে দেশান্তরি, সাজাপ্রাপ্ত আসামি। জনগণ কোন ভরসায় ওই দলকে ভোট দেবে?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণ কখন ভোট দেয়? মানুষ দেখে ওই দলকে ভোট দিলে ক্ষমতায় কে যাবে। তারা (বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান) তো ইলেকশনও করতে পারবে না।’
সাংবাদিকদের শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের ভোট দেবে কেন- এই প্রশ্নটা করেন না। জনগণ ভোট দিতে পারছে না-এই কথাটা যারা বলে, মানুষ তাদের ভোট কেন দেবে? কারা কেন কোন সুখের স্বপ্নে বা কোন আশার আলো দেখে বিএনপিকে ভোট দেবে? সেটাও একটু জিজ্ঞেস করেন, জেনে রাখি।’
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি তো আমাকে অতীতেও মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছিল।’
বাংলাদেশ টিকা তৈরি করতে প্রস্তুত জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ইতিমধ্যে ১০ একর জায়গা নিয়ে রেখেছি। সার্বিক ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং আমাদের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইতোমধ্যে গ্যাভির (টিকা বিষয়ক আন্তর্জাতিক জোট) সঙ্গে আলোচনা করেছে, ডবিস্নউএইচও’র (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) সঙ্গে আলোচনা করেছে। আমরা বলেছি আমরা ফর্মুলা চাই। আমরা সিড চাই এবং আমরা বাংলাদেশে এটা (টিকা তৈরি) প্রস্তুত করতে পারব।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা খুব দুর্ভাগ্য মানবজাতির জন্য যে, প্রতি সময় আমরা দেখি যেকোনো একটা মহামারি আকারে দেখা দিলে সেখানে কিছু শ্রেণি আছে তারা তাদের আর্থিক লাভ লোকসানটার দিকে যতবেশি তাকায়, ঠিক মানুষের দিকে অত তাকায় বলে আমার মনে হয় না। এটা শুধু আমার দেশে বলে না, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এটা আমরা লক্ষ্য করি। যে কারণে এটাকে (টিকা) আমি সর্বজনীন করার জন্য বলেছি। শুধু তাই না আমি এটাও বলেছি বাংলাদেশ টিকা তৈরি করতে প্রস্তুত।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে এক প্রশ্নর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বার বার তাগিদ দেওয়ার পরও এ বিষয়ে আশাব্যঞ্জক সাড়া পাওয়া যায়নি। কোনো কোনো সংস্থা রোহিঙ্গাদের শরণার্থী করে রাখতেই বেশি আগ্রহী। মনে হয় রিফিউজি পালাটা একটা ব্যবসা কোনো কোনো সংস্থার জন্য। রিফিউজি না থাকলে তাদের চাকরিই থাকবে না। এটা হলো আসল কথা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে একটা জিনিস মনে হয়, রিফিউজি থাকলে কিছু লোকের মনে হয় লাভই হয়। অনেক প্রস্তাব আসে রোহিঙ্গাদের জন্য এখানে অনেক কিছু করে দিতে চায়। আমি সোজা বলে দিই, যান মিয়ানমারে, ওখানে ঘর করেন, স্কুল করেন, এখানে করা লাগবে না। আমার কাছে যেটা মনে হয়, (তাদের কাছে) সব কিছুই যেন একটা ব্যবসা।’
বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার এই চাপে কক্সবাজারের পরিবেশ ও প্রতিবেশের যে ক্ষত হচ্ছে, সে কথা জাতিসংঘে তুলে ধরার কথা
জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেখানে নানা ধরনের অসঙ্গতি চলছে, নারী পাচার, শিশু পাচার, সবচেয়ে বড় ড্রাগ- এই ড্রাগ পাচারের সাথে জড়িয়ে পড়ছে তারা (রোহিঙ্গারা)। যেটা আমাদের জন্য সবচেয়ে আশঙ্কাজনক।’
দেশে কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক প্রতারণার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, মানুষের দুঃসময়ে কিছু প্রতারক তাদের টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে। যখন এসব ‘হায় হায় কোম্পানি’ তৈরি হয়, আপনারা (গণমাধ্যম) একটু সচেতন করলে মানুষ আর বিপদে পড়ে না। আমরা চেষ্টা করব তাদের (প্রতারিতদের) টাকা হাতে পৌঁছে দিতে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার কৃষিপণ্য রপ্তানির দিকে নজর দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আমের স্বাদ একদম আলাদা। এবার আম পাঠালাম। প্রথম প্রথম তো একটু খাওয়াতেই হয়। তারপর আস্তে আস্তে পাঠাতে হয় তাই না…সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের যে অঞ্চলে যে ফসল ভালো হবে, ওই ফসলের প্রক্রিয়াজাত করে যদি আমরা রপ্তানি করতে পারি, তাহলে আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারব। আমি মনে করি, কৃষিপণ্য রপ্তানি করে আমরা প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে আইসিটি ডিভাইস রপ্তানি। সেই সঙ্গে কৃষিপণ্য, খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাত করা। এভাবে একটার পর একটা করলে বাংলাদেশে আর কোনো আর্থিক সমস্যা থাকবে না।’
কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির বিস্তারিত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার জন্য প্রথমেই দরকার ফসল ক্ষেত থেকে তোলার পর তা সংরক্ষণ এবং কার্গোতে তুলে দেওয়া। তার জন্য কার্গো ভিলেজ করতে হবে। যেখানে বিভিন্ন চেম্বার থাকবে। কোন ফসল-কোন তরকারিটা হবে, কোনটা কত ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভালো থাকে, এগুলোর কিন্তু আন্তর্জাতিক গবেষণার ফলাফল আছে। আর আমি নিজে নেদারল্যান্ডসে দেখেছি, আমাদের দেশেও এটা করব। ক্ষেত থেকে কার্গোতে নিয়ে আসার জন্য সেই ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। এখন আমরা কার্গো ভাড়া করে বিদেশে পাঠাই, কিন্তু আমাদের নিজস্ব কয়েকটা কার্গো দরকার। টমেটোর জন্য আলাদা চেম্বার, অন্যান্য সবজির জন্য আলাদা চেম্বার করতে হবে।’
মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়হীনদের জন্য সরকার যে ঘর উপহার দিয়েছে, সে সবের কিছু ধসে পড়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পে নয়টি জায়গায় দুর্নীতি পেয়েছি। এতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। তবে দেড় লাখ ঘর দেওয়া হলো। এগুলোর সবগুলোই কি ভেঙে পড়েছে, নাকি কেউ ভেঙেছে?’
প্রধানমন্ত্রী প্রোজেক্টরে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু ঘরের ছবি দেখিয়ে বলেন, ‘এগুলো হাতুড়ি-শাবল দিয়ে ভেঙেছে। আপনারা বিষয়টি একটু ভালো করে দেখেন, খোঁজ নেন। আপনারা এটা খুঁজে বের করলেন না, কারা এটা ভাঙল। করোনাকালে ঘরগুলো তৈরির ফলে এত মানুষের কাজের সুযোগ হলো, সেটাও দেখলেন না। আমি কি জানতে পারি কেন আপনারা এটা দেখেননি?’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে একটি স্থায়ী বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। তার নিচে একটি বেঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে কোনো রাজনৈতিক নেতার জন্য এ ধরনের উদ্যোগ এটিই প্রথম। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি বিরল সম্মান। কারণ, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আমরা আলোচনা করি, বৃক্ষরোপণ আমাদেরও লক্ষ্য। বাংলাদেশে আমরা সেটি করে যাচ্ছি। জাতিসংঘ সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করতে পারা সত্যিই আমার জন্য আনন্দের।’
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ যে অবিচলভাবে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে, এ পুরস্কার তারই বিশ্ব স্বীকৃতি। আমি দেশের জনগণকে এ পুরস্কার উৎসর্গ করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রতিবারের মতো এবারও বাংলায় ভাষণ দিয়েছি। আমি কোভিডমুক্ত একটি বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে টিকার সর্বজনীন সাশ্রয়ী মূল্যে প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করি। টিকা-বৈষম্য দূরীকরণে আমি কোভিড-১৯ টিকাকে বৈশ্বিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানাই। আমি কোভিড-১৯ মহামারির কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর ক্ষতি কমানো, ধনী ও শিল্পোন্নত দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিপূরণ প্রদান, টেকসই অভিযোজনের জন্য অর্থায়ন ও প্রযুক্তির অবাধ হস্তান্তরের অনুরোধ করি।’
তিনি বলেন, ‘চলমান মহামারির প্রকোপে শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা এবং টেকসই পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ডিজিটাল সরঞ্জামাদি ও সেবা, ইন্টারনেটের সুযোগ-সুবিধার সহজলভ্যতা এবং শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা উলেস্নখপূর্বক আমি জাতিসংঘকে অংশীদারিত্ব ও প্রয়োজনীয় সম্পদ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানাই। অভিবাসী বহনকারী দেশগুলোকে অভিবাসীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার, তাদের কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সম্পর্কে আমি আবারও বিশ্বনেতাদের স্মরণ করিয়ে দিই, রোহিঙ্গা সংকটের সৃষ্টি মিয়ানমারে, সমাধানও রয়েছে মিয়ানমারে। রাখাইন রাজ্যে তাদের মাতৃভূমিতেই এর সমাধান। টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই কেবল এ সংকটের স্থায়ী সমাধান হতে পারে। আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে গঠনমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করার অনুরোধ জানাই। আমি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় নতুন আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে সবুজ প্রযুক্তির অবাধ হস্তান্তরের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করি। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত লগ অ্যান্ড ভ্যাসের এবং জলবায়ুজনিত কারণে বাস্তুচু্যত জনগণের পুনর্বাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কর্তৃক কার্যকর ভূমিকা পালনেরও আহ্বান জানাই।’
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য খাতে নারীদের অবদানের কথা তুলে ধরি। তৃণমূল পর্যায়ে নারী নেতৃত্ব গঠন এবং নারী নেতৃত্ব দ্বারা পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজনৈতিক ও আর্থিক সুবিধাদি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করি। রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্টি এবং এর সমাধানও রয়েছে মিয়ানমারে উলেস্নখ করে আমি কয়েকটি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানাই।’
বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ ও সহযোগিতা কামনা করি। এবারের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের মূল বিষয়গুলো বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক ছিল। বিশেষত, কোভিড-১৯ টিকার সর্বজনীন প্রাপ্যতা ও মহামারি থেকে টেকসই পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত শীর্ষ সভাগুলোয় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেখানে আমাদের দাবিগুলো জোরালোভাবে তুলে ধরেছি।’
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, উনাকে এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেন শেখ হাসিনা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি বাংলায় ভাষণ দেন। নিউ ইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন। বিভিন্ন দেশের সরকার, রাষ্ট্র ও সংগঠনের প্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী।