মঙ্গলবার , ডিসেম্বর ২৪ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / সামান্য আন্দোলন দেখে ভয় পাবেন না : প্রধানমন্ত্রী

সামান্য আন্দোলন দেখে ভয় পাবেন না : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক:
বিরোধী দলগুলোর সাম্প্রতিক আন্দোলন দেখে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ‘ভয়’ না পাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দেশবাসীর ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না, আন্দোলন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সামান্য আন্দোলন দেখে ভয় পাবেন না; যতক্ষণ জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে ততক্ষণ ভয়ের কিছু নেই।

আমরা অগ্নিসংযোগ-সন্ত্রাসকে আর বরদাস্ত করব না। এটা কখনই মেনে নেওয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি কথা মনে রাখবেন, যারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সমর্থন দেয়নি, তাদের মনের শত্রুতার এখনো কাটেনি। তবে আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জীবনে সমস্যা আসবে এটা স্বাভাবিক, তবে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হলে মনোবল ও শক্তি প্রয়োজন। এই শক্তি (মনোবল) নিয়ে এগিয়ে গেলে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

আমি এটি বিশ্বাস করি।’

তিনি আরো বলেন, সরকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করছে, এমনকি দুস্থ সম্প্রদায়েরও। তাই দ্রব্যমূল্য নিয়ে দুর্দশা গ্রামীণ এলাকায় প্রায় নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা সরকারি কর্মচারীদের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণের সেবা করা তাঁদের দায়িত্ব। পাশাপাশি তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের সর্বদা উদ্ভাবনী ধারণা খুঁজে বের করার এবং তাঁদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করে দেশকে আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, ‘তরুণ কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেক বেশি উদ্ভাবনী শক্তি রয়েছে। এখন নতুন প্রযুক্তির যুগ। আপনি যখন আপনার নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেন, তখন সর্বদা চিন্তা করুন কী কী উদ্ভাবন করা যায় এবং কিভাবে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।’

প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য কাজের জন্য ২৮ জন কর্মকর্তা ও দুটি সরকারি দপ্তরকে পুরস্কার দেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের দক্ষতা, মননশীলতা এবং উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করতে ২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন বিভাগে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।

জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস প্রতিবছর ২৩ জুলাই পালিত হচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সে সময় ইতালিতে সরকারি সফরে থাকায় ২৩ জুলাই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়নি।

পুরস্কার প্রাপকরা তাঁদের নামের শেষে টাইটেল হিসেবে ‘বিপিএএ’ শিরোনাম ব্যবহার করতে পারেন। প্রত্যেককে একটি স্বর্ণপদক (১৫ গ্রাম ওজনের) এবং রাষ্ট্রীয় মনোগ্রামসহ একটি প্রশংসাপত্র দেওয়া হয়। ব্যক্তিগত অবদানের জন্য দুই লাখ টাকা এবং দলগত অবদানের জন্য পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এন আশেকুর রহমান ও মন্ত্রিপরিষদসচিব মাহবুব হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।

আরও দেখুন

সিংড়ার শুকাশ ইউনিয়ন জামায়াতের কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক সিংড়া,,,,,,,,,,,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিংড়া উপজেলার শুকাশ ইউনিয়নে সেটআপ প্রোগ্রাম (কমিটি গঠন) সম্পন্ন হয়েছে। …