শনিবার , নভেম্বর ১৬ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ও চীন একমত

সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ও চীন একমত

নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সঙ্গে মঙ্গলবার সাক্ষাত করেছেন চীনের সফররত স্টেট কাউন্সিলর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফিঙ্গহে। এ সময়ে উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে একমত হয়েছেন। সাক্ষাৎকালে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ এবং চীন সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু এবং কৌশলগত নির্ভরশীল সহযোগী অংশীদার। একই সঙ্গে তিনি জানান, চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি খুব গুরুত্ব দেয় বাংলাদেশ এবং চীনের মৌলিক স্বার্থকে (কোর ইন্টারেস্ট) দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

এতে আরো জানানো হয়, সাক্ষাতে ওয়েই ফেঙ্গহি বলেছেন, প্রাচীনকাল থেকে চীন এবং বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশী এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের এক দীর্ঘ ইতিহাস আছে এই দুটি দেশের মধ্যে। সিনহুয়া লিখেছে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ। একই সঙ্গে আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে সেফগার্ড হিসেবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট হামিদ বলেছেন, তিনি আশা করেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রাকটিক্যাল সহযোগিতা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে দুই দেশের সেনাবাহিনী। এর মধ্য দিয়ে তাদের সম্পর্কের আরো অগ্রগতি হবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা খাতে চীনের শক্তিশালী সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ। সাক্ষাতের সময় ওয়েই ফিঙ্গহে বলেন, উভয় দেশই জাতীয় নবজাগরণ এবং উন্নয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অবস্থান করছে এবং উন্নয়ন কৌশল ও সহযোগিতার বিস্তৃত এক সম্ভাবনার মধ্যে সমন্বয় উপভোগ করছে। তিনি আরো বলেন, আরো উন্নয়নের জন্য সহযোগিতার দ্বিপক্ষীয় কৌশলগত বিষয়ে দুই দেশের নেতাদের মধ্যে যে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী চীন। চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, সহযোগিতা আরো বিস্তৃত হচ্ছে। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে সফর আরো বাড়ানো উচিত। প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম, বিশেষায়িত ক্ষেত্রে ব্যাপক বিনিময় এবং সামরিক সম্পর্ককে আরো ঘনিষ্ঠ করতে সহযোগিতাকে আরো গভীর করা উচিত। যৌথভাবে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে রক্ষা করতে দুই দেশেরই উচিত এ অঞ্চলের বাইরের শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে দক্ষিণ এশীয় একটি সামরিক জোট গঠন করা এবং আধিপত্যবাদীদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালানো।

মঙ্গলবার ওয়েই ফিঙ্গেহ আরো সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সঙ্গে। এ সময় তারা আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ও সামরিক বিষয়েও আলোচনা করেন।

আরও দেখুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ ………..চাঁপাইনবাবগঞ্জে রক্তদান সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার …