নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম (বগুড়া):
আগামী ২৯ জুন পবিত্র ঈদুল আযহা। যাকে কোরবানির ঈদ বলা হয়। এ ঈদকে সামনে রেখে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রণবাঘা হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ব্যাপক উপস্থিতিতে এবারো কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে।
গত শুক্রবার রণবাঘাহাটে ব্যাপক পরিমাণ কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। আগামী শুক্রবার এ হাটে আরো বেশি পরিমাণ কোরবানির পশু বিক্রয় হবে এমনটা জানিয়েছেন হাটের ইজারাদার মিজানুর রহমান।
এ হাটে ক্রেতাদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা মাঝারি সাইজের দেশি গরুর প্রতি। বড় গরুর তুলনায় ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা অনেকটা বেশি হলেও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রয়েছে। গত শুক্রবার সরেজমিনে রণবাঘা হাটে গিয়ে তা দেখা যায়।
রণবাঘা পশুর হাটে বিভিন্ন এলাকার বেপারি, খামারি ও সাধারণ মানুষ বিপুল পরিমাণ গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেঁড়ার নিয়ে আসে। আবার ক্রয়-বিক্রয় খুব ভালো হয় বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ক্রেতা-বিক্রেতারা।
রণবাঘা হাটের ইজারাদারের ম্যানেজার সোহেল বিশ্বাস বলেন, সবদিক থেকে হাটটি নিরাপদ তাই ক্রেতা-বিক্রেতার আকর্ষণ এই হাটের প্রতি বেশি।
কোরবানির পশু ক্রেতা-বিক্রেতারা যেনো প্রতারিত না হয় এজন্য জাল টাকা সনাক্তকরণ বুথ চালুসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার রণবাঘা হাটে আরো বেশি পরিমাণ কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় হবে বলে আশা করছি।
এ হাটে দেশি-বিদেশি জাতের কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। সন্ধ্যার পরেও হাট চলবে এজন্য লাইটিং ব্যবস্থা করা হবে।
নন্দীগ্রাাম থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, ব্যাপারিরা যেনো ভালোভাবে হাটে আসতে পারে এবং ক্রেতা-বিক্রেতারা কোনো সমস্যা ছাড়াই হাট থেকে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে সেদিকটা লক্ষ্য রেখে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
নন্দীগ্রাম দক্ষিণপাড়ার আব্দুস সাত্তার জানান, আমি রণবাঘা হাট থেকে ৭৩ হাজার টাকায় কোরবানির জন্য একটি গরু ক্রয় করেছি। এই হাটে ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে কোরবানির পশু মিলে। তাই রণবাঘা হাট থেকেই কোরবানির জন্য গরু ক্রয় করি।