নিউজ ডেস্ক:
সাইবার হুমকি সম্পর্কিত বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ, যেসব ওয়েবসাইট ও এ্যাপস দেশের সামাজিক নীতি ও মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, দেশের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ তা ব্লক করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এ জন্য বিদ্যমান সাইবার থ্রেট ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স সিস্টেমের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। দেড় বছরে এই সক্ষমতা বাড়াতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। টেলিযোগাযোগ অধিদফতর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রস্তাবনা থেকে জানা গেছে, ইন্টারনেট সেবার বিশ্বব্যাপী বিস্তার ও প্রাপ্যতা শিক্ষা, গবেষণা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে তথ্য আদান-প্রদানে দুর্দান্ত গতি তৈরি করেছে। তবে ইন্টারনেটের ট্রান্স-ন্যাশনাল, বিকেন্দ্রীভূত এবং উন্মুক্ত প্রকৃতির কারণে কখনো কখনো সন্ত্রাসবাদ, পর্নোগ্রাফি এবং অন্যান্য আপত্তিকর সামগ্রীর প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহার হয়ে থাকে। সাইবার থ্রেট ডিটেকশন এবং রেসপন্স নিয়ে একটি প্রকল্প এর আগে টেলিযোগাযোগ অধিদফতর বাস্তবায়ন করেছে। ২০১৯ সালে যা সমাপ্ত হয়। এতে ব্যয় হয়ে ১৫০ কোটি ৫১ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ইটারনেট ব্যবহার করে প্রতারণা করা হচ্ছে। এইটি রোধ করা, পর্নোগ্রাফি ও আপত্তিকর বিষয়বস্তু প্রদর্শন বন্ধ করার জন্যই এই প্রকল্প।
সূত্র বলছে, দেশের আইআইজি ও এনআইএক্সগুলোতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ইনস্টল করে সাইবার থ্রেট ডিটেকশন এবং রেসপন্স সিস্টেমটি তৈরি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে এখন সাইবার হুমকির বিষয় চিহ্নিত করা এবং সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ফিল্টার করা সম্ভব হবে। দেশের সব আইপি ট্রানজিট সেবা প্রদানকারী ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) এবং জাতীয় ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জগুলোতে (এনআইএক্স) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপনের মাধ্যমে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ক্ষতিকর অ্যাপ্লিকেশন ব্লক করার জন্য বিদ্যমান সাইবার থ্রেট ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স সিস্টেমের সক্ষমতা বাড়ানো দ্বিতীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। অ্যাপ্লিকেশন, আইপি এড্রেস, আইআইজিগুলোতে তথ্য ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় হলো, অধিদফতরে স্থাপিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ সিস্টেমের সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনাই মূল কাজ। এ ছাড়া সাইবার থ্রেট ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স সিস্টেমের জনশক্তিকে আরো দক্ষ করে তোলা হবে। প্রকল্পটি ৪৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা খরচে পরিকল্পনামন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানা গেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে এই দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পটি সমাপ্ত হবে।
দেশের সাইবার খাতে সার্বভৌমত্ব অর্জন করে সকল প্রকার সাইবার ঝুঁকি প্রতিরোধের জন্য সমন্বিত সংস্থান শনাক্তকরণ (ইউআরএল) ওয়েবপেজ, আইপি অ্যাড্রেস ব্লক করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিসহ ঢাকায় একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়। মোবাইল অপারেটরদের পরিচিতি যথাযথভাবে ট্র্যাকিং করা। আর এই ট্র্যাকিং করার জন্য মোবাইল অপারেটরদের অফিসে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে। এই কাজের লক্ষ্য অর্জনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতারও প্রয়োজন রয়েছে
আরও দেখুন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ ………..চাঁপাইনবাবগঞ্জে রক্তদান সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার …