নিউজ ডেস্ক:
স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নথি চুরির ঘটনার আসল রহস্য বেরিয়ে এসেছে। রোজিনা ইসলামকে নিয়ে প্রথম আলোর সাংবাদিক সাবিহা আলম ও তার বাবার একটি ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া যায়। সেই ফোনালাপে ‘রোজিনার চুরির অভ্যাস আর গেল না’ এমন কথা বলেছেন সাংবাদিক সাবিহা।
এমনকি সাংবাদিক সাবিহা আলমের কথোপকথনে রোজিনাকে নিয়ে টেন্ডার সিন্ডিকেটের পক্ষে কাজ করার যে অভিযোগ ছিল, তা আবারও প্রমাণ হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব দায়িত্ব পাওয়ার আগে রোজিনার স্বামীর তিনটি টেন্ডার পাওয়ার তথ্য জানা যায় সাবিহা আলমের কথোপকথনে।
এর আগে রোজিনার দুটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে যেখানে তাকে কোনো ধরণের নির্যাতন না করার প্রমাণ পাওয়া যায়। অপর একটি ভিডিওতে রোজিনা ইসলাম চুরির কথা স্বীকার করে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করেন। এই ঘটনার পর রোজিনার স্বামীর বিরুদ্ধে আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আলোচনায় আসে।
জানা যায়, টেন্ডার সিন্ডিকেটের প্রতাপশালী এবং সম্রাট ও সাহেদ আলম সিন্ডিকেটের সদস্য মনিরুল ইসলাম মিঠু তার স্ত্রী রোজিনার সহযোগিতায় বিত্তবৈভবের মালিক হন। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়েও নথি চুরি করে ধরা পড়েছিলেন রোজিনা। তখনো মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায়।
অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশের নামে রোজিনা মূলত টেন্ডার সিন্ডিকেটের পক্ষে কাজ করতে নথি চুরি করে কর্মকর্তাদের ব্লেকমেইল করার চেষ্টা করেছিলেন বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে।
এছাড়া আরও জানা গেছে, চুরির অভ্যাস রোজিনার অনেক আগে থেকেই আছে। একইসাথে প্রচন্ড মিথ্যা বলার অভ্যাস রয়েছে রোজিনার। পাশাপাশি তিনি বেশ অকৃতজ্ঞও। যে সাংবাদিকরা আজ তার মুক্তির জন্য রাস্তায় আন্দোলন করছে, কাল বেরিয়ে এলে সেটা ভুলে যাবে রোজিনা। উল্টো বলবে বিভিন্ন উচ্চপদস্থ লোকজনের সাথে তার সম্পর্কের কারণে তিনি ছাড়া পেয়েছেন।